মোহাম্মদ আকমামুল হক

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম । তিনি একাধারে কবি, গায়ক, শিল্পী, লেখক, সুসাহিত্যিক, বংশী বাদক, সুরকার, গীতিকার, নাট্যকার, নাট্য প্রযোজক, চলচিচত্র প্রযোজক,অভিনেতা,রাজনীতিবিদ ছিলেন । এতগুলো গুণ পৃথিবীর কোন কবি, সাহিত্যিকদের মধ্যে একসাথে পাওয়া যায় না । নজরুল ১৯২০ থেকে ১৯৪২ ইং সালে অসুস্থ হবার পুর্ব পর্যন্ত মোট প্রায় ৪০০০ গান রচনা, সুরারোপ, রাগ—রাগিনী চিহ্নিতকরণ ও গেয়ে বিশ্বে রেকর্ড গড়ে গিয়েছিলেন, যা বিশ্বের কোন কবি, সাহিত্যিকের পক্ষে সম্ভব হয়নি । তিনি নিজেই বলেছেন, সাহিত্যে আমি কিছু দিতে পেরেছি কিনা জানিনা তবে আমি গানে কিছু দিতে পেরেছি এ কথা বলাই বাহুল্য।

নজরুল নিজেই ১৮টি নতুন রাগ সৃষ্টি করে একসাথে গীতও রচনা করে গেয়ে গেছেন । যেমন অরুণ রঞ্জনী [গান : হাসে আকাশে শুকতারা হাসে] উদাস ভৈরব, আশা ভৈরবী, সন্ধ্যা মালতী, শংকর, যোগিনী, নির্ঝরনী, বেনুকা, বন কুন্তলা, রূপ মঞ্জরী, দেবযানী ইত্যাদি সহ গানের গুরুত্বপূর্ণ সব শাখায় তিনি বিচরন করেছেন । ইসলামী গানে তার অবদান বিশ্বে অকল্পনীয়, অবিস্মরনীয়। তাঁর সমসাময়িক কাল থেকে প্রায় ১০০ বছরে কেউ তাঁকে অতিক্রম করতে পারেনি । আল্লামা ইকবাল, শেখ সাদী, ফেরদৌসী, রূমি, ওমর খৈয়াম, হাফিজ, আলেকজান্ডার পোপ, নগুচী, রিস্টবোটন, বেটোপেন, টলস্টয় প্রমূখ কবি , সাহিত্যিক কেউ পারেননি। তাই তাঁর রচনাবলী বিখ্যাত সব ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা নজরুল প্রেমিকদের প্রাণের দাবী। ইতিমধ্যে পারসী, চীনা, তুর্কি সহ অনেক ভাষায় তাঁর রচনাবলী আংশিক অনুদিত হয়েছে আরও ভাষায় অনুদিত হয়ে প্রচার করা জরুরী। নজরুল প্রায় ২৫০ ইসলামী গান রচনা, সুরারোপ করে গেয়েছেন। তাঁরা প্রতিটি ইসলামী গানই ইসলামের মৌলিক বিষয়ের উপর লেখা। যেমন, কোরান, হাদিস, ফেকাহ, কালিমা, ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, জিহাদ, আযান, ইসলামী গান. হামদে বারী, নাতে রসুল, গজল, মহর্রম, শবে বরাত, রবিউল আউয়াল, রাসুলের বাণী, মোনাজাত, দোয়া, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, মুসলিম জাগরণ, কবিতা, ইসলামী কবিতা ইত্যাদি।

গবেষনায় দেখা যায়, তাঁর ইসলামী গান. ইসলামী কবিতায় কোরান, হাদিস, ফেকাহ আধ্যাতিকতার অনেক তথ্য লুকানো আছে । তাই তার এসব ইসলামী গান. কবিতা বাংলার মুসলিম সমাজের বা মুসলীম জাহানের কাছে শতাব্দীর পর শতাব্দী কদর থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। নজরুল মরের অমর হয়ে হয়ে আছেন আমাদের মাঝে অথচ ৫০ বছরেও তিনি বাংলাদেশে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পান নাই, তাই জরুরী ভিত্তিতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া জনতার দাবী। প্রখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী, মোস্তফা জামান আব্বাসী, কবি আবদুল হাই শিককার, ইয়াকুব আলী খান, ফেরদৌসী রহমান, মিন্টু রহমান, কবি নাতনী খিলখিল কাজী, ড. লীনা তাপসী খাঁন প্রমুখ জাতীয় কবি হিসাবে কাজী নজরুলের দ্রুত সাংবিধানিক স্বীকৃতি চান । অন্যদিকে, শ্যামা সংগীত, কীর্তন, ভজন, আগমনী, জস্মাষ্টমী, হিন্দু—মুসলীম মিলন, প্রার্থনা, হিন্দি গান, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত, প্রেম, নার্গিস প্রেম, নদী, ব্যান্ডের গান, মার্চের সুরে গান, উচ্চাঙ্গ সংগীত, ইত্যাদি বিষয়ে তিনি কলম ধরেছেন। আবার আধুনিক বাংলা গান, দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতি, কাওয়ালী, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়্যা, চাষীর গান, পীর—মুর্শিদ, কারাগার, শিশু, হাসির গান, বাংলার রূপ, সমর সংগীত, নাটক, নাটিকা, গীতি আলেখ্য, সিনেমার গান, রাজনীতির গান লিখে তৎকালে তিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন । তাঁর রচিত গান সাহিত্যের প্রায় সব ধারা স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নজরুলের বিষয় ভিিত্তিক গানের মধ্যে নিম্ন লিখিতগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঃ
ইসলামী গান ঃ বিংশ শতাব্দির ১ম দিকে যখন ভারতে শ্যামা সংগীতের স্বর্ণ যুগ তখন হিন্দুদের জণ্য কবি নজরুল প্রায় ১২৫০টি গান লিখেছেন আর মুসলমাদের জন্য মাত্র ২৫০টি ইসলামী গান লেখার সুযোগ পেয়েছেন তবে সুস্থ থাকলে হয়তো আরো শত শত ইসলামী গান রচনা করতে পারতেন। তৎকালে বাংলায় ইসলামী গান রচনা করা বা গাওয়ার প্রচলন ছিন না । তাই কবি নজরুলও বাজারে এসব গান ব্যবসায়িক ভাবে চলবে না ভেবে রচনাই করতে চাইলেন না ।

একদিন মরহুম আব্বাস উদ্দিন কাজী নজরুল ইসলামকে বললেন, কাজিদা বাংলায় ইসলামী গান রচনা করলে কেমন হয় ? কাল্লু কাওয়াল, পেয়ারু কাওয়াল উর্দুতে গজল গায় । এগুলো অনেক জনপ্রিয়। নজরুল বললেন, দেখ ভগবত ভট্টাচার্যকে [গ্রামোফোন রেকর্ডিং কো¤পানীর ইনচার্জ ] রাজি করাতে পার কিনা ? আব্বাস উদ্দিন ভগবত ভট্টাচার্যকে বললেন, বাংলায় ইসলামী গান গাইলে কেমন হয়, দাদা ? তখন ভগবত ভট্টাচার্য রেগে বললেন, না, না,এগুলো গানের বাজারে চলবে না । প্রায় ৬ মাস আপ্রাণ চেষ্টা ও দোয়ার পর আব্বাস উদ্দিন এক বর্ষনমূখর বিকালে অফিস থেকে ফিরে ভট্টাচার্য বাবুকে ফুরফুরে মেজাজে পেয়ে আব্বাস উদ্দিন বললেন, দাদা ইসলামী গানের একটা ঊীঢ়বৎরসবহঃ করে দেখুন না ? না চললে আর রেকর্ড করবেন না । এবার আল্লাহর রহম হলো ভট্টাচার্য বাবু বললেন, আপনি তো দেখি নাছোড় বান্দা , যান যান গান নিয়ে আসুন, দেখি করা যায় কিনা ! তৎক্ষণাত আব্বাস উদ্দিন নজরুলকে বললেন, ভট্টাচার্য বাবু রাজী হয়েছে, আপনি গান লিখুন! আধ ঘন্টার মধ্যে নজরুল লিখে ফেললেন “ ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ ” । এ গান ঈদের মওসুমে দারুন হিট হয় এবং হিন্দ—মুসলিমদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় । পরপর অনেকগুলো ইসলামী গানের রেকর্ড বের হয় । দীর্ঘকাল ইসলামী গান ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে হিন্দু শিল্পীরা ধীরেন দাস (গণি মিয়া), চিত্ত রায় (দেলোয়ার হোসেন) গীরিন চক্রবর্তী (সোনামিয়া ), ঊষা রাণী (রওশন আরা বেগম), সীতা দেবী (দুলী বিবি), হরিমতী (সাকিনা বেগম) প্রমখ মুসলিম নাম ধারণ করে গান রেকর্ড করতে থাকেন আর শ্যামা সংগীত অধরাই রয়ে যায় । আবার স্বনামে কিছু প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী গায়ক যেমন, কমলদাস গুপ্ত, ড. অনুপ ঘোষাল, অজয় রায়, রাধব চট্টোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, সতিনাথ মুখোপাধ্যায়, আশা ভোশলে প্রমূখ ইসলামী গানও দরদ দিয়ে গেয়েছেন। নিম্নে তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী গান দেয়া হলো ।
ইসলামী গান :
১. নামাজ পড় রোজা রাখ, কলেমা পড় ভাই
২. নামাজ রোজা হজ্জ যাকাতের আমি পসারিনী
৩. আল্লা রাসুল বলরে মন আল্লা রাসুল বল
৪. ইয়া আল্লাহ তুমি রক্ষা কর দ্বীন দুনিয়া
৫. কোথায় তখত তাউস কোথায় সে বাদশাহী
৬. আল্লা রাসুল বলরে মন
৭. সুদূর মক্কা মদিনার পণে আমি রাহি মুসাফির
৮. দুর আরবের স্বপন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে
৯. তুমি অনেক দিলে খোদা দিলে অনেক নিয়ামত
১০.মসজিদেরি পাশে আমার কবর দিও ভাই
১১.উঠুক তুফান পাপ দরিয়ায় ওরে আমি কি তাই ভয় করি
১২.দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে কে জানে
১৩.ভোর হলো ওঠ জাগ মুসাফির আল্লা রসুল বল
১৪.আল্লা নামের দরখতে ভাই ফুটেছে এক ফুল
১৫.আল্লা নামের নায়ে চড়ে যাব মদিনায়
১৬.আল্লা নামে কাঁদরে বারেক রসুল নামে কাঁদ
১৭.আল্লা থাকের দুর আকাশে, নবিজী রয় প্রাণের কাছে
১৮.উম্মত আমি গুনাহগার, তবু ভয় নাইরে আমার
১৯.মওলা আমার সালাম হল, এ সংসারের কাজে
২০.ও মানুষে মানুষে ভেদ নাই, সকল মানুষ ভাই ভাই
২১ খোদার লীলা কে বুঝিতে পারে আহা কে বুঝিতে
২২.ইসলামের বাণী লয়ে কে এলো ধরাতে
২৩. নামাজী তোর নামাজ হলো যে ভূল
হামদে বারী : ১. খোদার প্রেমের সরাব পিয়ে বেহুশ হয়ে রই পড়ে হায়
২. এ সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল, মিঠা নদীর পানি খোদা তোমার মেহেরবানী
৩. রোজ হাসরে আল্লা আমার করোনা বিচার
৪. খোদা এই গরিবের শোন শোন মুনাজাত
৫. খোদাকে স্মরণ কর
৬. আহার দিবেন তিনিরে মন জীব দিয়োছন তিনি
৭. ইয়া আল্লা তুমি রক্ষা কর
৮. আল্লা নাম জপিও ভাই দিবসে ও রাতে
৯. আল্লাজি আল্লাজি রহম কর তুমি যে রহমান
১০. ফুলে পুছিনু বল, বল ওরে ফুল, কোথা পেলি
১১. আল্লার নাম লইয়া বান্দা ফজরে
১২. যে আল্লার কথা শুনে, তারি কথা শোনে লোকে
১৩. শোন শে্ান ইয়া ইলাহি আমার মোনাজাত শোন
১৪. আল্লা নামের বীজ বুনেছি এবার মনের মাঠে
১৫. আল্লাজি গো আমি বুঝিনা তোমার খেলা
১৬. যেদিন রোজ হাসরে করতে বিচার তুমি হবে কাজি
১৭. তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাস করে
১৮. আমার যখন পথ ফুরাবে আসবে গহীন রাতি খোদা
১৯. রোজ হাসরে আল্লা আমার করোনা বিচার আল্লা
২০. আল্লাকে যে পাইতে চাই হজরতকে ভালবেসে
২১. কারো ভরসা করিসনে তু্ই এক আল্লার ভরসা কর
২২. আল্লা আমার প্রভূ আমার নাহি নাহি ভয়
২৩. যে পেয়েছে আল্লা নাম সোনার কাঠি
২৪. দেশে দেশে গেয়ে বেড়াই তোমার নামের গান
২৬. খোদা এই গরীবের শোন শোন মোনাজাত
২৭. আল্লা নামের শিরনী তোরা কে নিবি
২৮. নিশিদিন জপে খোদা দুনিয়া জাহান, জপে
২৯. মাগো আমায় শিখাইলি কেন আল্লা নাম
৩০. মাঠে আমার ফলল ফসল, মনের ফসল কই
৩১. য়্যা এলাহি . য়্যা এলাহি তোমার রাহে কর মোরে ত্রাহি
৩২. ক্ষমা সুন্দর আল্লা মোদের ভয় দেখিও না আর
৩৩. সৃজন ভোরে প্রভূ মোরে সৃজিলে গো প্রথম যবে
৩৪. য়ার হৃদয়ে আল্লা নাম সদাই জেগে রয়

নাতে রসুল : ১.আমি যদি আরব হতাম মদীনারই পথ
২. তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে, মধু পূর্ণিমারই
৩. ইয়া মোহাম্মদ বেহেস্ত হতে খোদার পাওয়ার পথ দেখাও
৪. মেষ চারনে যায় নবী কিশোর রাখাল বেশে
৫. ওরে কে বলে আরবে নদী নাই. যেথা রহমতের ঢল
৬. সাহারাতে ফুটলোরে রঙিন গুলে লালা
৭. তৌহিদেরী বান ডেকেছে সাহারা মরুর দেশে
৮. আমার মোহম্মদের নামের ধ্যায়ান হৃদয়ে যার রয়
৯. নুরের দরিয়া সিনান করিয়া কে এলো মক্কায় আমিনার
১০. সৈয়দে মক্কী মদীনা আমার নবী মোহাম্মদ রাসুল
১১. নবীর মাঝে রবি সম আমার মোহাম্মদ রাসুল
১২. আমিনা দুলাল নাচে হালিমার কোলে
১৩. তোমার নামের একি নেশা হে প্রিয় হজরত
১৪. আজি আল কোরাইশী প্রিয় নবী এলেন ধরাধাম
১৫. আমিনার কোলে নাচে হেলে দুলে শিশু নবী
১৬. ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে আসিলেন রসুল
১৭. মদীনায় যাবি কে আয় আয় উঠিল নিশান দিনের বিষাণ
১৮. হে প্রিয় নবী রাসুল আমার, পড়েছি আভরন নামেরী
১৯. আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত ও নাম পানে
২০. ত্রাণ কর মাওলা মদীনার উম্মত তোমার
২১. তৌহিদের মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম
২২. মোহাম্মদ নাম যতই যপি, ততই মধুর লাগে
২৩. ওরে ও মদিনা বলতে পারিস কোন সে পথে মোর
২৪. মোহাম্মদ মোর নয়ণ মণি মোহাম্মদ নাম জপমালা
২৫. ইসলামেরই সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর
২৬. নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল
২৭. ঐ হের রাসুলে খোদা এলো ঐ
২৮. আহমদের ঐ মীমের পর্দা উঠিয়ে দেখ মন
২৯. ইয়া রাসুলুল্লাহ মোরে রাহা দেখাও
৩০. ইসলামেরই বাণী লয়ে কে এলো ধরাতে
৩১. হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ও কে আসে হায়
৩২. ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলোরে দুনিয়া
৩৩. এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকী
৩৪. খোদা এই গরীবের শোন, শোন মোনাজাত
৩৫. মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে
৩৬. আমার প্রিয় হযরত নবী কমলীওয়ালা
৩৭. বহে শোকের পাথার আজি সাহারায় নবীজি
৩৮. মরু সাহারা আজি মাতোয়ারা হলেন নাজিল
৩৯. যাবি কে মদীনায় আয় ত্বরা করি
৪০. হেরা হতে হেলে দুলে নুরানী তনু কে আসে হায়
৪১. হে মদীনার বুলবুলি গো গাইলে তুমি কোন গজল
৪২. বক্ষে আমার কাবার ছবি, চক্ষে মোহাম্মদ রাসুল
৪৩. আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যারে মদীনা
৪৪. রাঙা পিরহান পরে শিশু নবী খেলেন পথে
৪৫. খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী, বিশ^ দুলালী নবী
৪৬. নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায়
৪৭. রাসুল নামের ফুল এনেছি রে আয় গাঁথবি মালা কে
৪৮. হে মদীনাবাসী প্রেমিক ধর আজি
৪৯. হে মদীনার নাইয়া ভব নদীর তুফান ভারি কর পার
৫০. ইয়া মোহাম্মদ বেহেস্ত হতে খোদায় পাবার পথ দেখাও
৫১. মদীনার শাহানশাহ কোহ—ই—তুর বিহারী
৫২. দেখে যারে দুলহা সাজে সেজেছে মোদের নবী
৫৩. আবহায়াতের পানি দাও, মরি পিপাসায়
৫৪. আমি দুলাল এসো মদীনায় ফিরিয়া আবার ডাকে
৫৫. কুল মাখলুক গাহে হযরত, বালাগার উলা বিকামালিহি
৫৬. দ্বীনের নবীজি শুনায় একাকী কোরানের মধু বাণী
৫৭. মদীনাতে এসেছে সই নবীন সওদাগর সে
৫৮. মারহাবা সৈয়দে মক্কী মাদানী আল আরবি
৫৯. মোদের নবী আল আরব সজল নওশার সজল
কালিমা :১. কলেমা শাহাদাতে আছে খোদার জ্যোতি,
নামাজ : ১. নামাজ পড়, রোজা রাখ, নামাজ পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে
রোজা : ১. যাবার বেলায় সালাম লহ হে পাক রমজান
হজ্জ : ১. চলরে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজির দেশ,
২. কাবার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদীনায় , আমায় সালাম
২. সুদূর মক্কা মদীনার পথে আমি মুসাফির, বিরাজে রওজা
৩. পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও বইয়া, এ গরিবের
৪. দুর আরবের স্বপন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে
৫. ও ভাই হাজি , কোন কাবাঘর হজ্জ করিয়া এলে
৬. কাবার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায় আমার সালাম
যাকাত:  ১. দে যাকাত, দে যাকাত তোরা দেেও যাকাত
কোরান: ১. জরীন হরফে লেখা, রূপালী হরফে লেখা
২. দ্বীনের নবীজি শুনায় একাকী, কোরানের মধু বাণী
ঈমান: ১. আল্লাতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মুসলমান
জিহাদ: ১. তাওফিক দাও খোদা ইসলামে মুসলীম জাহা
২. খয়বর জয়ী আলী হায়দার, জাগো জাগো আরবার
৩. বেজেছে নাকাড়া হাঁকে নকীবের তূর্য, ডুবে যায় তব
৪. ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি
৫. খোদায় পাইয়া বিশ^জয়ী ছিল একদিন যারা
আযান: ১. বাজলো কিরে ভোরের সানাই নিদ মহলার
২. দুর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদ মিনারে
৩. সকাল হল শোনরে আজান, উঠরে সয্যা ছাড়ি
মহর্রম: ১. মহর্রমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের
২. বহিছে সাহারায় শোকের লু হাওয়া, দোলে অসীম
৩. ফোরাতের পানি নেমে ফাতেমা দুলাল কাঁদে
৪. ওগো ফাতেমা ছুটে আয় তোর দুলালের বুকে হানে ছুরি
৫. এলো সেই মোহররমে কারবালার স্মৃতি লয়ে
৬. মরুর ফুল ঝরিল অবেলাতে ফোরাত নদী কাঁদে
৭. দাও দখিনা, দাও বিদায় কারবালাতে যায় রণ ডংকা
৮. মরুর তলে সকিনা
৯. মরুর বালু ভিজালো আজ নদীর জল
শবে বরাত : ১. এলো এলো সবে বরাত তোরা জ¦ালরে
রবিউল আউয়াল : ১. সেই রবিউল আউয়ালের চাঁদ উঠেছে
রাসুল : ১. রাসুল নামে কে এলো মদীনায়
২. কুল মাখলুখ গাহে হযরত বালাগাল উলা বিকামালিহি
রাসুলের বাণী: ১. তোমার বাণীরে করিনি গ্রহন ক্ষমা কর
মোনাজাত : ১. শোন শোন ইয়া ইলাহি, আমার মোনাজাত
২. খোদা এই গরীবের শোন, শোন মোনাজাত
৩. আমার সকল ক্ষুদ্রতা হতে বাচাও প্রভূ
ঈদুল ফিতর :১.ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো ২.ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক, ঈদ, রাহে লিল্লাহ কে
৩. এলো রমজানের চাঁদ এবার দুনিয়াদারি ভোল
৪ নাই হলো মা বসন ভুষন এই ঈদে আমার
৫. ফুরিয়ে এলো রমজানেরই মোবারক মাস, আজ বাদে
৬. ঈদের খুশির তুফানে আজ ভাসলো দোজাহান
৭. এলো আবার ঈদ ফিরে এলো আবার ঈদ চলো ঈদগাহে
৮. যাবার বেলায় সালাম লহ পাক রমজান তব বিদায়
৯. ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক দোস্ত দুশমন পর ও আপন
১০.ঈদের খুশীর তুফানে আজ ভাসলো দোজাহান
১১. ঈদ মোবারক হোক আজি ঈদ মোবারক হোক
১২. এলো রমজানের চাঁদ, এবার দুনিয়াদারী ভোল
১৩. খোদার রহম চাহ যদি নবীজি ধর
ঈদুল আজহা : ১. ঈদোজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার
২. নতুন চাঁদের তাকবির শোন, কয় ডেকে মোয়াজ্জিন
৩. ঈদোজ্জোহার তাকবির শোন
মুসলীম জাগরণ : ১. জাগে না সে জোশ লয়ে আর মুসলমান
২. বাজিছে দামামা, বাঁধরে আমামা, শির উঁচু করি
৩. তাওফিক দাও খোদা ইসলামে মুসলিম জাহা পুন: হোক
৪. বাজিছে দামামা, বাঁধরে আমামা শির উঁচু করি মুসলমান
৫. দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার, লঙ্গিতে হবে রাত্রি নিশীতে যাত্রীরা হুশিয়ার
৬. দিকে দিকে পুন জ¦লিয়া উঠিছে দ্বীন ইসলামী লাল
৭. চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম জানে আমায়
কাব্যে আমপারা : কাজী নজরুল ইসলাম নিয়্যত করেছিলেন পুরো কোরানের কাব্যানুবাদ করবেন কিšতু অসুস্থ হবার কারণে দুর্ভাগ্যবশতঃ মাত্র কাব্যে আমপারা বা শেষ পারা কাব্যানুবাদ করতে পেরেছিলেন ।
ইসলামী কবিতা :১.ওমর ২. ফাতেহা—ই—দোয়াজ দাহুম
৩. মোহর্রম ৪. ঈদের চাঁদ ৫. খালেদ
মুসলিম নারী : ১.গুনে ও গরিমায় আমাদের নারী বিশে^
২.জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা
৩. আমি আল্লা ডাকে ছুটে যায় যাবে তুমি মোনাজাত
মোনাজাত : ১. শোন শোন ইয়া ইলাহী আমার মোনাজাত
২. খোদা এই গরীবের শোন শোল মোনাজাত
কাওয়ালী : ১. আসিছে হাবিবে খোদা…দেখ আজ আরশে
২. ইয়া রাসুলুল্লাহ মোরে রাহা দেখাও সেই কাবার
পীর—মুর্শিদ : ১. ওগো মুর্শিদ পীর বলো বলো
২. ছয় লতিফার উর্ধে আমার আরাফাত ময়দান তারি মাঝে
৩. পীর, সালাম করি, তব চরণে আমরা অবোধ চঞ্চল
গজল : ১. গুল বাগিচার বুলবুলি আমি ্রঙিন প্রেমের গাই
২. বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুল শাখাতে দিসনে আজি দোল
৩. আলগা করগো খোপার বাঁধন ৪. উচাটন মন ঘর রয়না
৫. ফুল ফাগুনে এলো মরশুম ৬. এতজল ও কাজল চোখে মোর আনলে৭. নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি জল
৮. কে বিদেশী মন উদাসী বাঁশের বাঁশী ৯. চেয়োনা সুনয়না আর চেয়োনা ১০.কেন আসিলে ভালবাসিলে দিলে ১১.ঐ ঘর ভুলানো সুরে
কবিতা ঃ:১. বিদ্রোহী ২. সাম্যের গান ৩. নারী
জাগরণী গান : ১. দিকে দিকে পুনঃ জাগিয়া উঠিছে
২.তোরা সব জয়ধ্বনী কর,্ এই নতুনের কেতন উড়ে কাল
৩.জাগো অনশন বন্দী ,ওঠেও যত জগতের লাঞ্চিত
৪. দুর্গম গিরি কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার হে, লঙ্ঘিতে
৫. চীন ভারতে মিলেছি আবার মোরা শতকোটি লোক
৬. এই শিকল পরা ছল মোদের এই শিকল পরা ছল
৭. জয় হোক জয় হোক, শান্তির জয় হোক
গ্রীষ্ম : ১. মেঘ বিহীন খর বৈশাখ
২.তৃষিত আকাশ কাপেেও প্রখর রবির তাপে রে
৩. এলো এলোরে বৈশাখী ঝড় এলো এলোরে
বর্ষা : ১. মেঘের ডমরু ঘন বাজে বিজলী চমকায়
২. এসো সজল শ্যাম ঘন দেয়া ৩. বরষা ঋতু এলো বিজয়ীর সাজে শরৎ ঃ ১. এসো সারদ প্রাতের পথিক ২. এলো ঐ শারদ রাতি, শেফালী সুগন্ধে ভরায় হেমন্ত ঃ ১. হৈমন্তিকা এসো এসো, এলো হিমেল শীতল শীত ঃ ১.পউষ এলো গো পউষ এলো অশ্রম্ন পাথার বসন্ত ঃ ১. বসন্ত মুখর আজি, দক্ষিণ সমীরণ মর্মর গুঞ্জন ২. আসে বসন্ত ফুলবনে
৩. বসন্ত এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহরে
নদী : ১. গঙ্গা, সিন্ধু, নর্মদা, কাবেরী যমুনা ঐ
ব্যান্ডের গান : ১. মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা
মার্চের সুরে/সমর সংগীত : ১. চল চল চল উর্ধ গগনে বাজে
২. দুরন্ত দুর্বার প্রাণ অফুরান, গাহে আমি উদ্দত গান
প্রেমের গান : ১. লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনু গো
২. আজকে না হয় একটি কথা কইলে আবার মোর সাথে
৩. মম তনুর ময়ূর সিংহাসনে এসো রূপকুমার ফরহাদ
৫. মনে পড়ে আজ সেই নারিকেল কুঞ্জ গুবাক তরুর ঘন
৬. মোর না মিটিতে আশা ভাঙ্গিল খেলা মোর
৭. ভিরু এ মনের কলি
৮.পথ হারা পাখি কেঁদে ফিরি একা
৮. শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
৯. খেলা শেষ হলো শেষ হয় নাই বেলা
নার্গিস প্রেম : ১.সেই মিঠে সুরে বাঁশের বাঁশরী বাজে
২. আজো মধুর বাঁশরী বাজে..গোমতীর তীরে
৩. তুমি আরেকটি দিন থাকো হে চঞ্চল যাবার আগে
৪. আবার ভালবাসার সাধ জাগে
৫. যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পার নাই কেন মনে রাখ
৬. আবার কি এলোেও বাদল পিঠ ভরা এলো চুল
৭. আবার কেন আগের মত এমন চোখে চাও
৮. তরুন অসান্ত হে বিরহী, নিবিড় বনছায়
৯. পরদেশী প্রিয়তম,এসো ফিরে মোর ঘর গোধুলী গগনে
১০.ফিরিয়া যদি সে আসে আমার খেঁাজে রুমা গোলারে
১১.যারে আঘাত ফিরায়েছে তুমি কেন ডাক তারে
১২. সেই মিঠে সুরে মাঠের বাঁশরী বাজে নিঝুম নিশীথে
শ্রমিকের গান : ১. ওরে ধ্বংস পথের যাত্রীদল ধর হাতুড়ী
২. ঘোর ঘোররে ঘোররে আমার সাধের চরকা ঘোর ৩. আবার জাগরে হলধর লাঙল কষে ধর ৪.আমাদের জমির মাঝি
আধুনিক বাংলা গান : আধুনিক বাংলা গান মূলত নজরুলের হাত ধরে রচনা শুরু হয়। পরে অন্যরা লিখা শুরু করে । ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে অনেক শিল্পী নজরুলের আধুনিক বাংলা গানকে নিজের গান বলে চালাতেও দ্বিধা করেননি। ফলে গানের জগতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিন্তু নজরুল উদার মনের শিল্পী হওয়ায় কোন উচু বাক্য করেননি। একবার শিল্পী নিতাই ঘটক কোলকাতায় গান গাইতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। তিনি নজরুলের গান করতে চাইলে দর্শকরা আধুনিক গাইতে চাইলেন । তিনি অনেকখানি আধুনিক গান শোনালেন এবং অনেক প্রশংসা কুড়ালেন বটে কিন্তু পরে জানালেন, যে কয়খানি আধুনিক গান শোনানো হলো সবই নজরুলের। যেমন— শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে, ভালবাসা মোরে ভিখারী করেছে তোমারে করেছে রাণী, জীবনে যদি দ্বিপ জালাতে নাহি পার সমাধি পরে মোর ইত্যাদি গান। নজরুলের আধুনিক গানের কিছু এখানে প্রদত্ত হলো ঃ ১.মালা যদি মোর ধুলায় মলিন হয় ২. ভালবাসা মোরে ভিখারী করেছে তোমারে করেছে রাণী
৩. শাওন রাতে যদি, স্মরনে আসে মোেও ৪. জীবনে যদি দ্বিপ জালাতে নাহি পার, সমাধি পরে মোর ৫.আমাকে ভুলেছ বলে করিনি তো অভিমান ৬.এসো সারদ প্রাতের
দেশাত্মবোধক : ১. ও ভাই খাটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার
২. একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু ৩. শ^দেশ আমার জানিনা তোমায়
পল্লীগীতি : ১.বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে ২. এ কুল ভাংগে ও কূল গড়ে এইতো নদীর খেলা
ভাটিয়ালী : ১.পদ্মার ঢেউরে মোর শুন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা
২. ও কুল ভাংগা নদীরে আমার চোখের জল নিয়ে ৩. নাইয়্যা ধীরে চালাও তরণী ৪. ও ভাই আমার সাম্পান যাত্রী না লয় ভাংগা আমার তরী
ভাওয়াইয়্যা : ১. ও কুল ভাংগা নদী রে তোর কাছে সুধায়
২. নদীর নাম সই অঞ্জনা নাচে তীরে
চাষী : ১.ওঠরে চাষী জগৎবাসী ধর কষে লাঙল
কারাগার : ১. কারারই লৌহ কবাট ভেঙ্গে ফেল করবে
২. এ শিকল পরা ছল মোদের এই শিকল পরা ছল
৩. মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝঞ্ঝার চঞ্চল
শিশু : ১. প্রজাপতি প্রজাপতি কোথায় পেলে ভাই এমন
হাসির গান : ১. আজকা হইবো মোর বিয়া কালকা যামু
২. ও তুই উলটা বুঝলি রাম ৩.গিন্নির চেয়ে শালী ভালো মেসের চেয়ে মামা ৪. উচ্ছে নহে, ঝিঙে নহে, নহে পটল
৫. গাহরী গাহরী নদীয়া আহা বিছানা ৬. আগার খোকার মাসি শ্রী অমুক বালা দাসী
বাংলার রূপ : ১. একি অপনরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু
২. ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি
৩.শ্যামল বরণ বাংলা মায়ের রূপ দেখে
বাংলাদেশ : ১. নমোঃ নমো বাংলাদেশ মম ২. এই আমাদের বাংলাদেশে আমরা দুজন ৩. এই আমাদের বাংলাদেশ এই আমাদের বাংলাদেশ
হিন্দুদের গান : হিন্দুদের জণ্য কবি শ্যামা সংগীত, কীর্তন, ভজন, আগমনী গান জন্মাষ্টমী সহ প্রায় ১২৫০টি গান লিখেছেন, সুর করেছেন এবং গেয়েছেন আর ২৫০টি ইসলামী গান লিখেছেন তবে সময় পেলে আরো ইসলামী গান রচনা করতে পারতেন।
শ্যামা সংগীত : ভারতে ইংরেজ রাজত্বের শেষ দিকে হিন্দুদের ব্যাপক প্রভাব এবং আর তখন ছিল শ্যামা সংগীতের প্রভাব। হিন্দুদের জণ্য কবি নজরুল প্রায় ১২৫০টি গান লিখেছেন তার অধিকাংশই শ্যামা সংগীত, কীর্তন, ভজন, আগমনী, জন্মাষ্টমীর গান । আর তখন শ্যামা সংগীতের জনপ্রিয়তার সুবাদে মুসলিম শিল্পীরা নাম পাল্টিয়ে মুহাম্মদ কাশেম (কে. মল্লিক), তালাত মাহমুদ (তপন চৌধুরী ) প্রমূখ হিন্দুু নাম ধারণ করেন । নিম্মে কিছু শ্যামা সংগীত দেয়া হলো :
১. বলরে জবা বল, কোন সাধনায় পেলি
২.এলো নন্দের নন্দন নবঘন শ্যাম
৩. তিমির বিদারি অলখ বিহারী
৪. অনাদি কাল হতে আনন্দ লোক গাহে তোমারী জয়
৫. খেলিছ এ বিশ^ লয়ে বিরাট শিশু আনমনে
৬. এবার নবীন মন্ত্রে
৭. ফিয়ে আয় ভাই
৮. ওমা ফিরে এলো
৯. নিশি কাজল শ্যামা আয় মা নিশীথ রাতে
১০. কোন সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণ তল
১১. হে পার্থ সারথী! বাজাও বাজাও পাঞ্চচন্য শংখ
১২. আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখেযা আলোর
১৩.আমার হাতে কালি মুখে কালিমা
১৪. কে পরালো মুন্ড মালা
১৫. তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম
১৬. আমার শ্যামা মায়ের কোলে চড়েুলি
১৭. অঞ্জলী লহ মোর সংগীতে
১৮. বনে যায় আনন্দ দুলাল
১৯.আমি শ্যামা বলে ডেকেছিলাম
২০.তুমি বেনুকা বাজাও কার নাম লয়ে
২১. ওমা তোর চরণে
কীর্তন : ১.ওরে নীল যমুনার জল, বললে মোরে
২.বিজন গোঠে  রাখাল
৩.সখি সাজায়ে রাখলো
৪.নব কিশোলয় রাঙা সয্যা পাতিয়া
৫.বাজে মঞ্জুল মঞ্জির
৬.সখি আমি না হয় মান করেছিনু
৭.তুমি কোন পথে এলে হে মায়াবি কবি
৮.আমি কলহেরি তরে
৯.সখি হে হেরি কেমন বল
১০.সখি আমি না হয় মান করেতছিনু তোরাতো
১১.এলো কৃষ্ণ কানাইয়া
১২. শুকতারা সম তনুমন
১৩.খেলে নন্দের আঙিনায়
১৪.গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনাম কৃষ্ণনাম
১৫.জগতের নাথ কর হে পার
১৬.আমার বিফর পুজাঞ্জলী
১৭.অন্তরে তুমি আছ চিরদিন
১৮.সৃজন আনন্দে নাচ নটরাজ হে
১৯.বাহির দুয়ার মোর
২০.গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রং
২১.আহার দিবেন তিনি রে মন জীব দিয়াছেন যিনি
২২.কেন প্রেম যমুনা আজি হলো অধীর
২৩.জাগো শঙ্খ গদা পদ্মধারিনী
২৪.বিজন গোঠে কে যায়
২৫.ব্রজগোপী খেলে হলি হরিরে
২৬.হারিয়ে ব্রজির কানাই ইরাবতির দেশে
২৭.হে গোবিন্দ রাখ চরণে
২৮.ফুটির মানস মধাবী কুঞ্জে
২৯.বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদিয়ায়
৩০.শ্যাম তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম
৩১. তুমি দিলে দুঃখ অভাব তুমিই কর ত্রাণ
৩২. ওগো নন্দদুলাল নাচে ছন্দদুলাল
৩৩. ও শ্যাম মুরালী বাজায়
৩৪. আমি কূল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস ননদীরে
৩৫. তিমির বিদারী অলখ বিহারী, কৃষ্ণ মুরারী আগত ঐ
৩৬. রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়
৩৭. আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে কে দিয়েছে গালি
৩৮. কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
৩৯. শ্যাম তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম
৪০. আমি সখিলো গৃহে রবো আমি যোগিনীরে
৪১. অরুণ কান্তি কে গো যোগী ভিখারী
৪২. আনন্দ দুলাল ব্রজবালার সনে
ভজন ঃ ১.গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে , কিশোর কৃষ্ণ দোলে
২. কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি যে কৃষ্ণ নাম জপেন ইন্দ্র
৩. ব্রজগোপী খেলে হরি খেলে আনন্দ নবঘন শ্যাম সাথে
৪. আমার মা যে গোপাল সুন্দরী যেন একবৃন্ত
৫. য়্যাকুল ব্যাকুল চুড়ত ফিরু শ্যাম ৬. ওগো পঁুজার থালায় আছে আমার ৭. গাহ নাম অবিরাম কৃষ্ণনম কৃষ্ণনাম
৮.জয় নারায়ণ অন্তরূপধারী বিশাল কভু প্রশান্ত
৯.জাগো জাগো সঙ্খ চক্র গদা পদ্মধারী কাঁদে
১০.ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে কেতকী পাতার তরণী
১১.ঝুলনের মধু লগনে, মেঘ দোলায় দোলে রে বাদল
১২.নাচিছে নটরাজ, শংকর মহাকাল, লুটাইয়া পড়ে দিবা
১৩.ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খ(জন্মাস্টমী)
১৪. হারিয়ে গেছে ব্রজের কানায় দ্বারাবতীর দেশে সারা
১৫. হে গোবিন্দ রাখ চরণে , মোরা তব চরণে
১৬. এসো অষ্টমী পূর্ণচন্দ্র এসো পূর্ণিমা (জন্মাস্টমী)
১৭.শ্যামা নামের লাগলো আমার (শ্যামা সংগীত)
আগমনী : ১. এলো শিবানী উমা এলোকেশ
জস্মাষ্টমী: ১. ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি (জন্মাষ্টমী)
২. এসো অষ্টমী পূর্ণচন্দ্র এসো পূর্ণিমা পূর্ণচাঁদ (জন্মাষ্টমী)
হিন্দু—মুসলীম মিলন ঃ ১. হিন্দু আর মুসলীম মোরা দুই
২.কল কল্লোলে ত্রিংশকোটি কন্ঠে উঠেছে গান
৩. মানবতাহীন ভারত শ্মশানে দাও মানবতা হে পরমেশ
৪. টিকি আর টুপিতে লেগেছে দ্বন্দ্ব বচন যুদ্ধ ঘোর
৫. হিন্দু আর মুসলীম মোরা দুই সহোদর ভাই
৬. মোরা একই বৃন্তে দুটি কুশুম হি্ন্দু মুসলমান
হিন্দি গান : ১. স্যখিরী দেখতো বাগমে কামিনী
২. গুলশান কো চুমচুম কহতি বুলবুল
৩. আকুল ব্যাকুল চঁুড়ত ফিরু শ্যাম তুম বিনা বহন না জায়
৪. জাগো ভারত বাণী ভারত জন তুম হে চাহে গগনমে
৫. চ্যল চ্যল চ্যল নওজোয়ান চ্যল,ফ্যত হেকি হোফুজ
৬. আয় সাত্তার আয় গাফফার করদে বেডা পার
৭. নার্গিস বাগমে বাহার কি আগমে ভরা ফুল দাগমে
৮. মসজিদোমে হ্যায় খোদাকে, মন্দিরমে রাম হ্যায়
প্রার্থনা ঃ ১. দাও শোর্য, দাও ধৈর্য, হে উদার নাথ
২. আমাদের ভাল কর, হে ভগবান
৩. আমার সকল ক্ষুদ্রতা হতে বাঁচাও প্রভূ উদার
উচ্চাঙ্গ সংগীত ঃ ১. মেঘ মেদরু বরষায় কোথা তুমি
২. আমার মনের বেদনা বুঝিলে না আপনার ভুল
৩. রিম ঝিম ঝিম ঝিম বরষা
৪. আজো কাঁদে কাননে কুহেলিয়া
৫. ধীরে ধীরে আসি
৬. পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
৭. রুম ঝুম ঝুম ঝুম নুপুর বাজে
নাটক ঃ বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নাটক,নাটিকা, গীতি আলেখ্য, গীতি নাট্য, সিনেমার গান লিখার প্রবনতা কবি নজরুলের বেশী পরিলক্ষিত হয় । তিনি বিভিন্ন নাটক, সিনেমায় অভিনয়, গান লেখায় ব্যস্ত সময় কাটান । রবীনন্দ্রনাথের গোরা ছবির জন্য নজরুল ১২টি গান রচনা করেন, তখন বড় বড় সাহিত্যিকরা ঈর্ষান্বিত হয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করেন, নজরুল অপপ্রচারের জবাব দিলে রবি ঠাকুর তাঁকে লিখিত অনমতিপত্র দেন। নিম্নে তার নাটক,নাটিকা, গীতি আলেখ্য,গীতি নাট্য, সিনেমার গান কিছু অংশ দেয়া হলোঃ

সর্বহারা [গান ঃ সখি দখিনা ], সেতুবন্ধ [গান: অধীর অম্বরে গুরু গরজন ], মঘুমালা [গান : অনেক জ¦ালা দিয়েছ তাই, সুরত উদ্ধার, অন্নপূর্ণা [নাট্যকার : মনিলাল বন্দোপাধ্যায়, গান: অশির শক্তি হতে হে], মহুয়া, সাবিত্রী, আলেয়া, চক্রব্যুহ, মদীনা, আলেয়া [গান : কে দুরন্ত বাজাও ঝড়ের ব্যাকুল বাঁশি], সিরাজদ্দৌলা,মধুমালা [ গান : আমার বনের পাখি বনের দেশে যায় ], বিশ^ মঙ্গল [ গান : আমি কেমন করে কোথায় ঝপাব কৃষ্ণ ], হরপার্বতী [ গান: ঝর্ণা ও পর্বতের যৌথ গান, গান : আমি চাই], অর্জুন বিজয় [ গান : আমি গো রাখাল রাখাল], বনের বেদে [ গান : উঠাও ডেরা এবার দুরে যেতে হবে], বিষ্ণুপ্রিয়া [গান : একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু], সতি [মন্মথ রায় রচিত, গান : একদা এক সুরাসু], সাবিত্রী [্এসো এসো তব যাত্রাপথে শুভ বিজয়],বন্দিনী বিরহিনী সীতা [গান ঃ কেন সে], জুজুবুড়ির ভয় [গান : ঘুম আয় ঘুম নিশুতি দুপুর], নরমেদ [গান : ওগো ঠাকুর বলতে পার কোথায় তোমার দেশ],আলেয়া [গান : কাকলী ও বিদ্যাপতির গান —জাগে যবতী ! আসে যুবরাজ ; আধো ধরনী আলো অঁাধার],নরমেধ [গান: দাও আরো আরো দাও সুরা], সর্বহারা [গান: নবীন বসন্ত যে যায় যায় রে], সাবিত্রী [গান: ফুলে ফুলে বন ফুলেরা], ঈদ [গান: বিদায় বেলা সালাম লহ হে পাক রমজান], সরলা [নাট্যকার—তারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়,গান: ভবানী শিবানী কালি], অর্জুন বিজয় [গান: যার তরিবার আশা নাই], কালিন্দী [ গান : কোন সাপিনীরে ], চক্রব্যুহ [ রচনা : মনোরঞ্জন সেন, গান : জাড়ো ভুপতি শুভ্র জ্যোতি নব প্রাণ], সতি [মম্মত রায় রচিত]
নাটিকা ঃ ঈদুল ফিতর [গান: ঈদের খুশীর তুফানে আজ], শ্রীমন্ত [গান: ভবানী শিবানী দশ প্রহরধারিনী] , প্রীতি উপহার [গান: হারমানি ননদিনী ], কাফন চোরা— ১৯৪০, বাসন্তিকা, লাইলী মজনু, রূপকথা [গান : সকাল সাঝে গায় ], সাপুড়ে [গান : কথা কইবে না বউ ], প্রতাপাদিত্য [ নাট্যকা যোগেষ চৌধুরী ], পুতুলের বিয়ে, অজুন বিজয়, সুভদ্রা [নাট্যকার বরদা প্রসন্ন দাসগুপ্ত [ গান : আমার লীলা বোঝা ভার নদীতে],ঈদ [বিদৌরির গান, গান: এলো ঈদুল ফেতর এলো ঈদ], বিজয় [গান ঃ খড়ের প্রতিমা পুজিস রে তোরা মাকে], সেতুবন্ধন
[গান: হর হর সংকর ! জয় শিব শঙকর], প্রীতি উপহার [ গান : বেয়ান ও বেয়ান], মীরাবাঈ [ গান : আজো হেথা তেমনি ধরা বাজে ]
গীতি আলেখ্য ঃ আল্লাহর রহম [ইসলামী নক্সা] গান : আল্লার নাম মুখে যাহার, হিন্দোল, আকাশ বাণী [গান : আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়] , পঞ্চাঙ্গনা [গান আনার কলি আনারকলি ], অন্তুর দেশ [গীতি চিত্র গান Ñ কথা কও কও কথা খাকিও না চুপ করে], হিন্দোল, বর্ষা মোদের প্রাণ [বেতার গীতিকা], কাফেলা [সংগীতালেখ্য— গান ঃ আয় গোপাল পানি ], মদীনা [নাট্যগীতি, [ গান : আমি মদিনা মহারাজের মেয়ে ] দেবী দূর্গা [গান : আয় ঘুম আয় সাপিনীর],আগমনী [গান : এলো শিবানী উমা এলোকেশ], অভিমানিনী [গভীর ঘুম ঘোেও স্বপনে], চক্রব্যুহ [গান ঃ গান গাও কৃষ্ণ কৃষ্ণ নাম],চাষার সঙ [গান : চাষ কর দেহ জমিতে হবে নানান ফসলেতে], সে কি তুমি [গান : কি হবে জানিয়া কে তুমি কি তব পরিচয়], লাইলী মজনু [গান : তোমার সজল চোখে], জীবন ে¯্রাত [গান: বয়ে যায় উতরোল অসীম], পুর্বালী], পুরনো বলদ নতুন বৌ, শাল পিয়ালের বনে [নৃত্যনাট্য, গান : ও ঝুমরা]
সিনেমার ঃ ধ্রুব [কাহিনীকার—গিরিশ ঘোষ [গান : আমি রাজার কুমার পথভোলা], চৌরঙ্গী [ গান: চৌরঙ্গী, চৌরঙ্গী ,চৌরঙ্গী; সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো ], গোরা [ ১২টি গান নজরুলের], দেবদাস , অভিনয় নয় [গান : ও সাপলা ফুল নেব না বাবলা], চট্টগ্রামের অস্ত্র লুন্ঠন [গান : কারারই লৌহ কবাট], বিদ্যাপতি [গান : রাই বিনোদিনী], পাতালপুরী[গান: আকাশ গঙ্গা ে¯্রাতে], সাপুড়ে [গান: কলার মান্দাস দাওগো স্বশুর] ।
নজরুল রচনাবলীঃ গল্প : ব্যথার দান,রিক্তের বেদন, শিউলী মালা প্রবন্ধ: যুগ বাণী, রুদ্র মঙ্গল, দুর্দিনের যাত্রী কবিতা : অগ্নী বীণা, দোলন চাঁপা, প্রলংকর, নির্ঝর,বিষের বাঁশী, ভাঙার গান, ছায়ানট, চিত্তনামা, সাম্যবাদী, পুবের হাওয়া, ঝিঙে ফুল, সর্বহারা, ফণি মনষা, সঞ্চিতা, জিঞ্জির, সন্ধ্যা, প্রলয় শিখা,চক্রবাক
উপন্যাস : জুলফিকার, বাঁধন হারা,মৃত্যু ক্ষুধা, কুহেলিকা. গানের গ্রন্থ : বুলবুল, মহুয়ার গান, সুর সাকী, চন্দ্রবিন্দু, বনগীতি, গীতি শতদল, গানের মালা। সাহিত্য : মক্তব সাহিত্য ইত্যাদি ।
যবনিকায় আমরা বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবী করছি যেন সাষ্কৃতিক মন্ত্রলণালয় নজরুলের বই, গান, কবিতা, অন্যান্য গ্রন্থরাজী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ^বিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষনা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাসে ও পাঠ্যসূচীতে অন্তভৃূক্ত করে পড়ানো বাধ্যতামূলক করে দেন । এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৯৫ ইং সালে ৭ম, ৮ম শ্রেণিতে ”নির্বাচিত নজরুল শিশু সাহিত্য” ও ’মক্তব সাহিত্য’ পাঠ্য বই ছিল । তাই বর্তমানে চালু করা সময়ের দাবী ।
সর্বশেষে আমরা এই বিখ্যাত কবির জন্মদিনে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ যেন তার মন্দ কাজগুলিকে মুছে দিয়ে ভাল কাজগুলিকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়ে জান্নাতবাসী করেন এই কামনাই করছি । বিশেষ করে ইসলাম নিয়ে লেখা তাঁর কবিতা, গান বিশে^ অতুলনীয়। আল্লাহ প্রেম, রাসুল প্রেম নিয়ে লেখা তাঁর ১টি গানের জন্যই আল্লাহ তাঁকে নাজাত দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও আল্লামা তারেক মনোয়ার, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সহ অনেক আলেম ।

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here