নিউজবাংলা ডেস্ক:
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলের কাছাকাছি এলাকায় পরপর কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০ জনে।
ভয়াবহ এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। হতাহতদের অধিকাংশই ছাত্রী। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি হামলার ঘটনায় তালেবানকে দায়ী করেছেন। খবর রয়টার্সের।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের মুখপাত্র নাজিবা আরিয়ান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হতাহতের বেশিরভাগই সৈয়দ উল সুহাদা স্কুল থেকে ক্লাস শেষ করে বেরিয়ে আসা ছাত্রী। ওই স্কুলে তিন শিফটে ক্লাস হয়ে থাকে। যার মধ্যে দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রীদের ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হয়।
শনিবারের হামলার পেছনে তালেবানকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তালেবানরা যুদ্ধ ও সহিংসতা ক্রমেই বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সঙ্কট সমাধানে রাজি নয়। পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে তারা নতুন করে সহিংস হয়ে উঠছে।’
তবে কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে তালেবান এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এর পেছনে তারা দায়ী নয় বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।
এদিকে, বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনার পর এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আফগানিস্তানের ইউরোপী ইউনিয়নের মিশন এক টুইট বার্তায় লিখেছে, কাবুলে দাস্তই বারচি অঞ্চলে ভয়াবহ হামলা সন্ত্রাসবাদের একটি ঘৃণ্য কাজ। একটি স্কুলের ছাত্রীদের ওপর টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। যা আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দস্ত-ই-বার্চি অঞ্চলের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় সৈয়দ আল-শাহদা স্কুলের কাছে পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে স্কুলছাত্রীসহ ৪০ জন নিহত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, হামলার পর ক্ষুব্ধ জনতা একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধোর করেছে। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা করতে এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে মুক্তভাবে চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
ওয়াশিংটন গত মাসে আফগানিস্থান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই কাবুলে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা চলছে। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পর থেকে তালেবানরা দেশব্যাপী হামলা আরও বৃদ্ধি করেছে।