হুমায়ুন কবির সোহাগ কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম একটি উপজেলা হলো কালীগঞ্জ।কালীগঞ্জ থানার ১১ টি ইউনিয়ন ও ঝিনাইদহ সদর থানার অন্তর্গত চারটি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ -৪ সংসদীয় এলাকা গঠিত।প্রতিটি ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পিচের তৈরি। এইসব রাস্তা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়ন তথা শহরের সাথে এসে মিশেছে। রাস্তার দু’ধার দিয়ে আছে কোথাও গ্রাম কোথাও বা মাঠ কোথাও নদী বা খাল-বিল আবার কোথাও বা ছোট ছোট বাজার। বর্তমানে গ্রামের এই সব পিস রাস্তাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়,রাস্তার দুধারে বসবাস করা কৃষক পরিবার গুলো পিচ রাস্তার উপর ধান গাছ ছিটিয়ে ধান ঝাড়ার কাজ সারছেন। কালীগঞ্জের চাপরাইল,রায়গ্রাম, এক্তারপুর,ভাতঘারা,বাদুরগাছা, রাখালগাছী,শিমলা,বালিয়াডাঙ্গা, নলডাঙ্গা আড়মুখ,ঘোড়শাল, নারিকেলবাড়িয়া প্রভৃতি গ্রাম ঘুরে এই একই চিত্র দেখা যায়।ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে এবার আমন মৌসুমে কৃষক তার স্বপ্নের সোনালী ফসল তথা ধান গোলাতে তুলতে পারেনি। পানিতে ডুবেছে কৃষকের স্বপ্ন আর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে জলে ভেজা ধান মাঠ থেকে নিয়ে এসে বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে রেখেছেন অনেকে।বাড়ির যে জায়গা গুলোতে ধান গোছানোর কাজ করা হতো সেই জায়গাগুলো বৃষ্টির অতিবর্ষণে কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ির সামনের পিচের রাস্তার উপর ধান ঝাড়ার কাজ সারছেন অনেকেই। তেমনি আড়মুখী গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া জানান, বৃষ্টিতে সব শেষ। এই ভেজা ধান পিচের রাস্তার উপর নেড়ে দিয়ে একসাথে শুকানো ও ঝাড়ার কাজ করছি। এতে করে ধান গাছ থেকে আমরা যে খড় পেতাম সেটি আর পাচ্ছি না।কারণ রাস্তার উপর ছিটানো ধান গাছের উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করছে। ফলে ওই ধানগাছ গো-খাদ্যের জন্য অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।আবার ধানও অনেক নস্ট হচ্ছে।এত কষ্ট করে ধান লাগিয়ে সেই ধান যদি এভাবে চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যায় তার থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here