হুমায়ুন কবির সোহাগ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার চাচড়া গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে। শখ থেকে ঘুঘু পাখি পালন করেন তিনি। প্রথমে সখের বশিভুত হয়ে পুষে ছিলেন, এখন তা পরিণত হয়েছে বানিজ্যিকে।
গত ২ বছর আগে রাসেল কালীগঞ্জ শহর থেকে একজোড়া কবুতর ক্রয় করেন ১০০০ হাজার টাকা দিয়ে। সেখান থেকে এক জোড়া দেশি জাতের ঘুঘু বাচ্চা বাড়িতে সখ করে লালন পালন করতে থাকে। পরে অষ্ট্রেলিয়ান জাতের ২ জোড়া ২৫০০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন খুলনা থেকে। এভাবে প্রায় ৭৫ জোড়া অষ্ট্রেলিয়ান ঘুঘুর ফার্ম গড়ে তোলেন। এখন বানিজ্যিক ভিত্তিতে ঘুঘুর ফার্ম করে প্রতি জোড়া ১৫০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। বর্তমানে তিন রঙের ডায়মন্ড ঘুঘু, অষ্ট্রেলিয়ান ঘুঘু রয়েছে। রাসেল আহম্মেদ ঘুঘু পালন করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। কালীগঞ্জ চাচড়া গ্রামের ঘুঘু ফার্মটি এখন এলাকার সবার কাছে দৃষ্টিনন্দন কেড়েছে। এলাকায় এই প্রথম ঘুঘুর ফার্ম দেখতে প্রতিদিন সাধারন মানুষের ভিড় করছে। তার কথায়, ঘুঘু পাখি পুষে বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। রাসেল প্রায় ২ বছর ধরে শখের ঘুঘু পাখি পালন করছে। একজোড়া পাখি দিয়ে হয়েছিল শুরুটা। এরপর দিনে দিনে পাখির বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। বিদেশি প্রজাতির ঘুঘু পাখি দেখতে সুন্দর হওয়ায় রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকে পাখি কিনতে আসে।
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পাখি পালনে দিনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে রাসেলের। পাখির খামার গড়তে চাইলে কম খরচ দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন রাসেল আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘পাখি পালন করতে হলে তাদের রোগব্যাধি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তা না হলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে। যদিও বিদেশি প্রজাতির পাখির রোগব্যাধি খুবই সীমিত। যাতে রাখলে এ গুলোর অসুখ খুব কম হয়। এরা প্রতি মাসে ডিম পাড়ার আগেই দেওয়া হয় পাটির পাতিল ও খড়। এ পাতিলেই তারা ডিম থেকে বাচ্চা ফুটায়। খাবার দেওয়া হয় গম,চালের কুড়া, সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার। কাঠ দিয়ে করা হয়েছে সুন্দর ঘর, সামনে রাখা হয় পানি ও খাবার। প্রতিদিন তাদের ৩ বার খাবার দিতে হয়। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ভাবে কোন সমস্যা না হলে ঘুঘু পাখির ফার্মটি আর বড় করতে চান।