হুমায়ুন কবির ঝিনাইদহ সংবাদদাতা :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জমে উঠছে ঈদের বাজার।মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্ক থাকলেও ক্রমেই জমে উঠছে ঈদের বাজার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে রমজানের প্রথম দিকে বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে বিভিন্ন ছোটবড় শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এ রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রথমদিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু গত দুইদিন ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আগমন বেড়ে গেছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কালিগঞ্জ বাসি তাদের প্রয়োজনীয় পোশাকাদিসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে মার্কেটে ছুটে আসছেন।ক্রেতাদের আগমনে খুশি বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, করোনার কারণে গতবছর রমজানের ঈদে ব্যবসা না হওয়ায় তাদের বিশাল অংকের অর্থ লোকসান গুনতে হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে পর্যন্তও তেমন বেচাকেনা ছিল না বললেই চলে। তবে গত দু-তিন ধরে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।বিক্রেতারা বলেন, করোনার আগে ক্রেতারা কেনার চেয়ে ঘুরেফিরে দামাদামি করতেন বেশি। কিন্তু এখন যেসব ক্রেতা মার্কেটে আসছেন তারা কেনার জন্যই আসছেন। দামে পোষালে দ্রুত প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে চলে যাচ্ছেন।কালীগঞ্জের মধুগঞ্জ, নিমতলা বাজার ও ফুটপাতের বাজার সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায, মার্কেটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার আগমন। বেচাকেনাও চলছে ভালো। অনেকেই পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকেটা করতে এসেছেন।মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরিধান এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো মার্কেটগুলোতে আগত ক্রেতাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে দেখা যায় তাদের।

মনসুর প্লাজার রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ‘গত দুদিন যাবত বেচাকেনা বেশ ভালো। মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক কিছুটা কমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনার কারণে আমাদের বিরাট লোকসান হয়ে গেছে। এ ক্ষতি পোষাতে কয়েকমাস লেগে যাবে।

নেয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধু সাবরিনা ফেরদৌস দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে রহমানিয়া সুপার মার্কেটে এসেছেন। বাচ্চাদের জন্য টি-শার্ট ও নিজের জন্য পোশাক কিনেছেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে বলতে গেলে ঘরবন্দি। তাই ঈদকে সামনে রেখে টুকটাক কেনাকাটা করতে বের হয়েছি।কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা মনে করেন কয়েকটা দিন এমন ক্রেতা থাকলে পরিবার নিয়া এবার একটু ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here