হুমায়ুন কবির সোহাগ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।

লগডাউনের ১০ তম দিন সকালে ঝিনাইদহ যশোর খুলনা মহাসড়কে বার বাজার হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেজবা উদ্দিন, সার্জেন্ট শাহীন,এস আই ফিরোজ হোসেন ও হাইওয়ে থানা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে চেকপোস্টে কড়াকড়ি অবস্থানে দেখা যায়।এক ঝটিকা সফরে হাইওয়ে পুলিশ যশোর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব আলী আহমেদ হাশমী বারোবাজার হাইওয়ে থানায় উপস্থিত হন। সে সময় তিনি বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে আমরা তৎপর রয়েছি। চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হবার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিনকে তিনি ধন্যবাদ দেন মহাসড়কে লকডাউন কার্যকরের যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য।

বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মেজবা উদ্দিন বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশ। বিশেষ করে লগডাউনের এই সময় মহাসড়কে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে,বসানো হয়েছে চেকপোস্ট ।চেকপোস্টের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মহাসড়ক ব্যবহারকারী যান চলাচলের উপর কঠিন নজরদারি রাখা হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা মহামারীতে জনগণকে সচেতন করতে বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে।

সার্জেন্ট শাহিন বলেন, শুধু জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। কোনো যাত্রী বা অন্য কোনো গাড়ি এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে বারো বাজার হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here