হুমায়ুন কবির,ঝিনাইদহ সংবাদদাতা :
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে চুরি হয়ে যাওয়া সদ্য প্রসূত কন্যা সন্তান ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ র্যাব (৬)। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের দাসপাড়ার প্রিয়া খাতুন-জাহাঙ্গীর দম্পত্তির বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় প্রিয়া খাতুন ওরফে মিনা কে আটক করে র্যাব। আটক প্রিয়া খাতুন নিশ্চিন্তপুর এলাকায় রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে থাকত।
উদ্ধারের সময় ঝিনাইদহ-৪ আসনে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় কালীগঞ্জ শহরের সেবা ক্লিনিক থেকে সদ্য প্রসূত এই বাচ্চাটি চুরি হয়। শিশুটি কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাড়া গ্রামের ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামের সন্তান। সোমবার রাতেই শিশুটি উদ্ধারে মাঠে নামে ঝিনাইদহ র্যাব ও পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম।
বাচ্চাটি উদ্ধারের পর র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি জানার পর থেকেই চুরি হওয়া কন্যা শিশুটিকে উদ্ধারে জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র্যাবের একাধিক টিম। পরবতীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কালীগঞ্জ শহরের নিশ্চিন্তপুর দাসপাড়ায় একটি বাড়িতে রয়েছে শিশুটি। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রিয়া খাতুন-জাহাঙ্গীর দম্পত্তির বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত প্রিয়া খাতুনকে আটক করা হয়। আটক প্রিয়ার দাবি, আমি বাড়ি পাশে শিশুটি পড়ে পেয়েছি।
চুরি হয়ে যাওয়া শিশুর বাবা কালীগঞ্জ বলিদাপাড়া গ্রামের ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে আমার স্ত্রী সাবানা বেগম প্রসব যন্ত্রনা শুরু হলে কালীগঞ্জ শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করি। বিকাল ৩ টার দিকে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্ত্যান ভুমিষ্ট হয়। এরপর ক্লিনিকের ২০৩ নং কেবিনে রাখা হয়। কন্যা ও তার মা সুস্থ্য ছিল। বিকালে এক অপরিচিত বোরকা পরিহিত মহিলা এসে আমার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করে এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে থাকে। এরপর মহিলাটি ক্লিনীকের রিসিভশনে বসে ছিল, তবে মহিলাটা কোন রোগীর আত্মীয় হবে ভেবে কেউ তাকে সন্দেহ করেনি। সন্ধ্যায় শিশু এবং তার মায়ের সাথে স্বজনরা যখন ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। এ সময় বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায় ওই নারী পালিয়ে যায়। তবে সস্তান ফিরে পাওয়ার পর আমি এবং আমার পবিারের সবাই খুশি