নিউজ বাংলা ডেস্কঃ

পাবলিক ক্যু! সামরিক বাহিনীর গোপন পরিকল্পনা! রণিল বিক্রমাসিংহের ঘোরপ্যাঁচ নীতি? কোনটা ঠিক! অনিশ্চিত গন্তব্যে শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট পালানোর পর কী হবে দেশটিতে কেউ বলতে  পারছেন না। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সোমবার বিকালেই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। বুধবার পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহের। কিন্তু সেই ঘোষণা এলো না। পক্ষান্তরে দেশের বাইরে রয়েছেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দ ইয়াপা আবিওয়ার্ডেনে বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সংবিধানের ৩৭.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রণিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। তবে এমন দাবি নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ, এতে প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়ার পদত্যাগের কোনোই কথা বলা হয়নি।

উল্টো তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেছেন! অথচ দু’দিন আগেই সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে অনলাইন ডেইলি মিরর খবর দেয়, সোমবারই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট।সেই ঘোষণা বুধবারই পার্লামেন্টে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রণিল বিক্রমাসিংহে। তার পরিবর্তে তিনি এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট ডাকা হলো না, পার্লামেন্টের কোনো সদস্যই জানতে পারলেন না, অথচ ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলেন রণিল বিক্রমাসিংহে? তবে কি তিনিই এক্ষেত্রে কোনো ক্যু করেছেন! এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। প্রেসিডেন্ট যখন পালিয়ে একটু আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে ছুটছেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে, তখন তিনি এমন নির্দেশ দিয়ে গেছেন এটা বিশ্বাস করা কঠিন। হয়তো বিষয়টি বুঝতে পেরে জনতা তার কার্যালয় দখলে নেয় গতকাল। ক্ষমতা থেকে তারও উৎখাত দাবি জনতার। ফলে গোটাবাইয়া রাজাপাকসের ঘাড়ে ভর করে ক্ষমতার মসনদে বসেছেন রণিল বিক্রমাসিংহে- এমনটাই জনতার বিশ্বাস। তিনিও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গোটাবাইয়ার মতো। সব মিলিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়েও হলো না। কী হবে এখন তা এক বড় প্রশ্ন।

 

আবার কেউ কেউ বলছেন, পুরো ঘটনার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে সেনাবাহিনী। তারাই গোটাবাইয়াকে দেশ থেকে গোপনে বের করে দিয়েছে।  ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে: রণিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হলেও প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়ার তরফ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ক’দিন ধরেই প্রেসিডেন্টের সকল বক্তব্য পার্লামেন্টের স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেই আসছিল। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। মূলত প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালানোর পরই অস্থায়ী বা ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রণিল। জনরোষ উপেক্ষা করেই অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ নেন তিনি। এটি অবশ্য আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, গোটাবাইয়ার অবর্তমানে প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব সামলাবেন রণিলই। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রণিল যেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব না নেন। একইসঙ্গে তার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবিও জোরালো হয়েছে। কিন্তু সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে জনরোষের মধ্যেই অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন রণিল।  এর আগে দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে। তবে এরই মধ্যে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

তারা রণিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগ চান। যতদিন না দেশের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হচ্ছে ততদিন রাজপথে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন তারা। ৩১ বছর বয়স্ক ভিরাগা পেরেরা বিবিসিকে বলেন, আমাদের দেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এখানে যে মানুষ যোগ দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে নির্বাচনে ভোট দিতে চায়। তিনি বলেন, এখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করে চলেছি। আমাদের থামাতে হেলিকপ্টারে করে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এতে আমরা থামবো না। আমরা বারবার ফিরে আসবো। যতদিন না আমার ও আমার সন্তানদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হচ্ছে ততদিন আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।  বিবিসি জানিয়েছে, রণিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। সেনারা প্রথমে তাদের বাধা দিলেও সেই বাধা অতিক্রম করে তারা ভেতরে ঢুকে যায়। তারা ভেতরে প্রবেশের পর আনন্দে, উল্লাসে ফেটে পড়ে। গোটাবাইয়া এবং রণিলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ড্রাম বাজাতে শুরু করে।

এ সময় বাইরে থাকা বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার পতাকা উড়াতে থাকে।  তবে রণিল নিরাপদেই আছেন বলে জানা গেছে। তিনি তার কার্যালয়ে নেই এবং গত ক’দিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা এর আগে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তার পরিবারের কেউ তখন সেখানে ছিলেন না। রণিল বিক্রমাসিংহেকে রাজাপাকসের অন্যতম সহযোগী বলেই বিশ্বাস করা হয়। নিজে লুকিয়ে থাকলেও তার কার্যালয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছেন। এর মধ্যে আছে দেশব্যাপী কারফিউ এবং জরুরি অবস্থা জারি করা। সামরিক জেটে পালালেন গোটাবাইয়া: দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। মঙ্গলবার একটি সামরিক বিমানে করে তিনি মালদ্বীপ পৌঁছান। শ্রীলঙ্কার অভিবাসন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে জানানো হয়, ৭৩ বছর বয়সী গোটাবাইয়ার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষী। মোট চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভু৩২ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন গোটাবাইয়া। তবে  বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাধার মুখে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এরপর সমুদ্রপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টাও করেন তিনি। শুধু গোটাবাইয়া নয়, মঙ্গলবার বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছে তার ভাই দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসেকেও। তিনিও আরব আমিরাত যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে একটি ফ্লাইটে ওঠার আগে বিমানবন্দরের কর্মীরা তাকে বাধা দেন। এ অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেননি। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, বুধবার শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনী গোটাবাইয়াকে মালদ্বীপে পৌঁছে দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনেই প্রেসিডেন্টকে নিরাপদে দেশ ত্যাগে সাহায্য করা হয় বলে জানিয়েছে বিমান বাহিনী। বুধবার একদম ভোরবেলা তাদেরকে মালদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়।  শ্রীলঙ্কার আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা যায় না। দেশ ত্যাগ করলেও গোটাবাইয়া এখনো শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ। শ্রীলঙ্কার সংবিধানেই তাকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, মালদ্বীপ প্রথমে গোটাবাইয়াকে অবতরণে অনুমতি দিতে চায়নি। তবে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপ নামার সুযোগ পান গোটাবাইয়া। প্রথমে কেরালায় পালাতে চেয়েছিলেন রাজাপাকসে, অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ভারত শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে।

তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এর আগে তিনি ভারতের সাহায্য চেয়েছিলেন। ভারত তাকে কোনো সাহায্য করতে সম্মত হয়নি। বাধ্য হয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নেন তিনি। দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই রাজাপাকসেকে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা সেই আইনের তোয়াক্কা করবে না। তাই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। সব জায়গায়ই বাধা পেতে থাকেন তিনি। বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তারাও তাকে দেশ ছাড়ার সুযোগ দিতে অসম্মতি জানান। একসময় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছিল গোটাবাইয়ার। ২০১৯ সালে নির্বাচন করার জন্য তা ত্যাগ করেন তিনি। যদিও তিনি আবারো যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। শ্রীলঙ্কায় থাকা বিভিন্ন সূত্রমতে গোটাবাইয়া ভারত হয়েও পালানোর পরিকল্পনা এঁটেছিলেন।

সামরিক বিমানে করে যেভাবে তিনি মালদ্বীপ পালিয়েছেন, সেভাবেই ভারতে পালানোর কথা ভেবেছিলেন তিনি।  ‘আমরা সব রাজাপাকসেকে কারাগারে দেখতে চাই’: প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের মালদ্বীপ পালিয়ে যাওয়ার খবরে হতাশ দেশটির আন্দোলনকারীরা। কলম্বোতে যেখানে সব থেকে বড় বিক্ষোভ চলছে সেখানে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে। আন্দোলনকারীদের একজন জিপি নিমাল বিবিসিকে বলেন, গোটাবাইয়া পালিয়েছে তা আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা আমাদের অর্থ ফেরত চাই। তিনি আরও বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেলাম না।  আন্দোলনে থাকা আরেকজন জানান, তিনি সমপ্রতি মালদ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কায় ফিরে এসেছেন। গোটাবাইয়া মালদ্বীপ পালিয়েছেন শুনে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। বলেন, এটি আসলেই বিব্রতকর। এটি ভালো কিছু নয়। কারণ মালদ্বীপ নিজেও দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দেশ। তারাও একই দিকে যাচ্ছে।  যদিও শেষ পর্যন্ত গোটাবাইয়ার অধ্যায় শেষ হচ্ছে ভেবে অনেক আন্দোলনকারী আনন্দও প্রকাশ করেছেন। দুই যমজ বোন রেশিনি ও রেশানি তাদের অন্যতম। ২৩ বছর বয়সী এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাদের মায়ের সঙ্গে গোটাবাইয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছিলেন। রেশিনি বিবিসিকে বলেন, আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া একজন সন্ত্রাসী। আমি খুশি যে, তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন। তবে দেশের যে হাল তিনি রেখে গেছেন তা নিয়ে হতাশ।

এই দুই বোন জানান, তারা এখন শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। এটিকে তারা দেশের জন্য নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখতে চান। রেশানি বলেন, আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আরও উন্নত দেশ হয়ে উঠবো। প্রত্যাশা ছিল কালই পদত্যাগ করবেন গোটাবাইয়া: শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। তারপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন তিনি। বুধবার তিনি পদত্যাগ করছেন বিষয়টি আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। সেই আগ্রহ নিয়ে বসে ছিল তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরাও। যদিও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি তিনি নিজে কখনো ঘোষণা করেননি। তিনি পদত্যাগ করতে পারেন তা জানিয়েছেন মূলত তার মিত্ররা। প্রধানমন্ত্রী এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের তরফ থেকে এই দাবি শোনা গেছে। গত শনিবার নিজের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ার পর থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি গোটাবাইয়া। ফলে গতকালই তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে শুরু করে মানুষের মধ্যে।  গোটাবাইয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মালদ্বীপ, বহিষ্কারের দাবি: বুধবার সকালেই মালদ্বীপে পালিয়ে গেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে। তবে এরই মধ্যে তাকে মালদ্বীপ থেকে বের করে দিতে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ এবং প্রবাসী শ্রীলঙ্কানরা।

এ খবর দিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর। খবরে জানানো হয়, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে জড়ো হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে গোটাবাইয়া রাজাপাকসেকে দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। মালদ্বীপের টেলিভিশন চ্যানেলে সেই আন্দোলন সরাসরি প্রচারও হচ্ছে। এর আগে ৭৩ বছর বয়সী গোটাবাইয়া সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে স্ত্রী এবং দুই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পালিয়ে যান। মালদ্বীপ থেকে তিনি কোথায় যেতে চান তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সরকারি বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, তিনি এশিয়ারই আরেকটি দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। শেষ খবরে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে পড়ে সেখান থেকে তিনি গতকালই সিঙ্গাপুর পালাতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here