নিউজ বাংলা ডেস্কঃ
জরুরি ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও তেলের দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের জুনের পর প্রতি ব্যারেল অশোধিত বেন্ট ব্রান্ডের দাম ১১৩ ডলার স্পর্শ করেছে। এই ব্রান্ডের তেলের দামকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যের মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।
এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিষয়ক এজেন্সি বা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির সদস্যরা জরুরি মজুদ থেকে অতিরিক্ত ৬ কোটি ব্যারেল তেল সরবরাহ দিতে সম্মত হলেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। বিশ্বে সবচেয়ে তেল বা জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। এর ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তারা মনে করছেন এই যুদ্ধের কারণে তেল ও গ্যাসের সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে।ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তেল- ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম উঠেছে ১০৯ ডলার।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির ৩০ টি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে জ্বালানি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য একমত হয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন পসাকি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কর্মকাণ্ডের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহ যাতে বিঘ্নিত না হয় সে জন্য আমাদের কাছে যেসব হাতিয়ার আছে তার সবটাই ব্যবহারে প্রস্তুত আমরা। তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে বাইরে রেখে কিভাবে জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে ওয়াশিংটন।
ওদিকে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে তারা বলেছে, এমনিতেই পর্দার আড়ালে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজার চড়া ছিল। এর মধ্যে ইউক্রেনে হামলার পর তেলের দাম অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।ওদিকে ক্রুড তেলের দামের ওপর ভিত্তি করে বৃটেনে মূলত পেট্রোলের দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। এই ক্রুড ওয়েল হলো জ্বালানির কাঁচামাল। এই ক্রুডের দামের ওপরেও নির্ভর করে ডলার এবং পাউন্ডের বিনিময় হার। কারণ তেল কেনাবেচা হয় ডলারে। সোমবার আরএসি বলেছে, পেট্রোলের দাম গড়ে রোববার লিটারপ্রতি ১.৫১ পাউন্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি রেকর্ড পর্যায়ের। অন্যদিকে ডিজেলের দাম বেড়েছে ১.৫৫ পাউন্ড।
আইসিএপির প্রধান বিনিয়োগ বিষয়ক কর্মকর্তা জে হ্যাটফিল্ড বলেছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে এমন নাটকীয়ভাবে দাম বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
ওদিকে ইউরোপজুড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার শেয়ারের মূল্য পতন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং বৃটেনের বাজারে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে।