হুমায়ুন কবির সোহাগ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

শরীরচর্চার গুরুত্বকে অস্বীকার করা মানে রোগবালাইকে আমন্ত্রণ জানানো, তাই প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রমে শরীর গঠনের পাশাপাশি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে বহুগুণে।

জীম ছাড়া শরীর চর্চা সম্ভব না এমনটা সকলে মনে করেন।এই সব গতানুগতিক ধারার বাইরে যেয়ে নিজ চেষ্টায় এক অন্যন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন এপি পলাশ(২৫)। জীম উদ্যোক্তা এপি পলাশ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার
আব্দুল আজিজ এর ছেলে।
শৈলকুপা থানার চড়িয়ালবিল বাজার এলাকার সন্তান এপি পলাশ এমবিএ কমপ্লিট করে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন। প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে হাতের কাছে থাকা নানা উপকরণও যে হতে পারে জীমের জন্য উৎকৃষ্ট উপকরণ তা করে দেখিয়ে মোটামুটি দেশজুড়ে আড়োলন সৃষ্টি করেছেন পলাশ।তার জীমের প্রথম উপকরণ হলো হাতের কাছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ইট-বালি, মাটি-সিমেন্ট, প্লাস্টিকের পাইপ, বোতল, গাছের ডাল, বাঁশ-খুঁটিসহ পরিত্যাক্ত সব ।এসব দিয়ে গ্রামে বসেই এপি পলাশের নেতৃত্বে একদল তরুণ ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরী করেছে ডাম্বেল, বারবেল, পুলআপ বার, দঁড়িলাফসহ আধুনিক জিম বা ব্যায়ামাগারের সব যন্ত্রপাতি। টেকনোলজির ব্যাবহার না করে অর্থ ব্যায় ছাড়াই তৈরী করা হচ্ছে ভারী ব্যায়ামের এসব যন্ত্রপাতি।পলাশের ব্যায়ামাগারে ব্যায়াম করা কাঞ্চন, পারভেজ, রাব্বি, ও সবুজ জানান, কোনো টাকা-পয়সা ছাড়াই এসব সরঞ্জাম দিয়ে তারা শরীরচর্চা করছেন।তারা সবাই আগের তুলনায় অনেক সুস্থ এবং সুন্দর আছেন।ব্যতিক্রমী এ জিমনেশিয়ামের উদ্যোক্তা এপি পলাশ জানান, শরীর অনুযায়ী ব্যায়ামসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তিনি। এছাড়া প্রশিক্ষণ নেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ইউটিউবে বিভিন্ন কনটেন্ট দেখে তরুণদের শরীরচর্চায় উৎসাহিত করছেন।
তিনি মনে করেন তার এই উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে দেশের তরুণ সমাজ একত্রিত হয়ে তাদের পাড়া বা মহল্লায় গড়ে উঠবে এমন অসংখ্য জীম।দেশে থেকে নির্মূল হবে মাদকসহ অন্যান খারাপ নেশা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here