নিউজবাংলা ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ মুসলমানকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেনটন টেরেন্টের সাজা ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার এ প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে জানান একজন প্রসিকিউটর।

গত বছরের এ হামলার ঘটনায় শ্বেতাঙ্গ ওই বর্ণবাদী টেরেন্ট ৫১ ব্যক্তিকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। হামলার কথা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন এবং হামলার দৃশ্য ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহের শেষ দিকের রায়ে এ ঘটনায় তিনি প্যারোল ছাড়াই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

সোমবার সকালে শুনানির সময় হ্যান্ডকাফ ও ধূসর বর্ণের কারা পোশাক পরা টেরেন্টের মাঝে তেমন কোনো অনুশোচনা লক্ষ্য করা যায়নি।

প্রধান প্রসিকিউটর বারনাবি হাউয়িস বলেন, টেরেন্ট গ্রেফতারের পর পুলিশকে বলেছিলেন, তিনি মুসলমানদের মাঝে আরো ভীতি ছাড়াতে চেয়েছিলেন।

‘তার ইচ্ছা ছিল মুসলিম জনসংখ্যা ও অ-ইউরোপীয়ানদের অভিবাসীদের মাঝে ধীরে ধীরে ভীতির সঞ্চার করা’, বলেন হাউয়ি।

হাউয়ি আরো বলেন, টেরেন্ট এত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়ার পরও কোনো অনুশোচনা দেখায়নি বরং তার পরিকল্পনা ছিল মসজিদটিকে পুড়িয়ে দেয়ার।

নূর মসজিদের ইমাম গামাল ফৌদা বলেন, টেরেন্ট বিপথগামী ও বিভ্রান্ত। আমি এ সন্ত্রাসীর পরিবারকে বলতে চাই, তারা তাদের একজন সন্তানকে হারিয়েছে, কিন্তু আমরা আমাদের কমিউনিটির অনেক প্রাণ হারিয়েছি।

‘আমি তাদের প্রতি সম্মান জানাই, কারণ তারাও আমাদের মতো কষ্টে পড়েছে’, বলেন ফৌদা।

নূর মসজিদ হলো টেরেন্টের হামলা করা দ্বিতীয় মসজিদ। এখানেই বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয় মসজিদে হামলার করার আগে গ্রেফতার হয় টেরেন্ট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here