হারুন বলেন, ‘আমার জানা নাই, ৫০ বছরের ইতিহাসে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এই রকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

হারুন বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেপ্তার ও জামিনের ঘটনাও বেশ নাড়া দিয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পরীমনি গণমাধ্যমে বলেছেন, কত নাটক করে তাঁকে ধরে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছিল, শুধু অফিসে নেওয়া হবে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন বলেন, পরীমনির ঘটনা তদন্তের তদারক কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়েছিল র‍্যাব। র‍্যাব নিজেরা এই ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কারণ, এর পেছনে অনেক বড় শক্তি জড়িত। এদের যারা ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।

মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা তদন্তের জন্য নতুন করে র‍্যাবকে দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করেন হারুন। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে মুনিয়া নামে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলার পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। বসুন্ধরার এমডির সঙ্গে মুনিয়ার ফোনালাপ, তার সঙ্গে ছবিও গণমাধ্যমে এসেছে। তিনি জানতে চান, এই ঘটনার তদন্তভার র‍্যাবকে দেওয়া হবে কি না। যদি না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি মনে করবেন এসব অপরাধে যারা জড়িত, সরকার তাদের চিহ্নিত করতে চায় না, আড়াল করতে চায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অপরাধগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here