নিউজবাংলা২৪ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, আজ (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন প্রতিমন্ত্রী।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন লোক থাকতে পারবে। তবে আমরা যেহেতু কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত, সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, সেজন্য সেখানে আমরা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সময় আমরা ১৮ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে এনেছিলাম এবং ‘বুলবুল’- এর সময় ২২ লাখ লোককে আমরা আনতে পেরেছিলাম।
ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটির বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৫ কিলোমিটার, যার কারণে এটাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো, উপকূলবাসী যারা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে বসবাস করছেন তাদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা। গতকাল থেকে এই কাজটি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক লোককে আমরা সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here