নিউজবাংলা ডেস্ক:
তিনি ফোনালাপের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও সরকার চরম দলীয়করণ এবং অনুগত অযোগ্য ও সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের বসিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের সই করা বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে অতীতে স্বনামধন্য, যোগ্য শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন এবং দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, বর্তমান সরকারের আমলে শুরু থেকেই ক্রমাগত নির্লজ্জ দলীয়করণ, ভর্তি বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ধূলিস্যাৎ করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালের মতো দায়িত্বশীল পদে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী-ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত ফোনালাপেই বোঝা যায়, কী তার পরিচয়! কী তার চরিত্র! এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এই দলবাজ, সন্ত্রাসী মহিলা যিনি কথায় কথায় ক্ষমতার দাপটে অস্ত্র ও লীগ নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি দেয়, প্রকাশের অনুপযোগী অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তাঁর হাতে শিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রী, অভিভাবকসহ কেউই নিরাপদ নয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলবাজ সরকার দলীয় আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে ‘লেডি সন্ত্রাসী’ বসিয়ে এই স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস ও ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়। ভোটবিহীন সরকারের চরিত্র, ভাষা, ব্যবহার যে ধরনের, তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাও একই ধরনের হবে-এটাই স্বাভাবিক।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই একই অবস্থা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় অনুগত, এমনকি নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের ভিসি বা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মর্যাদা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে অপসারণ করে ন্যায়-নিষ্ঠ, ভদ্র, আদর্শবান, সৎ, নির্ভিক ও নির্দলীয় শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত