রাশেদা আক্তার

মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য প্রেরণার বাতিঘর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির ইতিহাসে অনেকগুলো দিন আছে যা আমাদের মনে প্রেরণা যোগায়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তেমনি একটি দিন। মুক্তিকামী বাঙালির জন্য ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল দিকনির্দেশনার শামিল। ৫০ বছর আগে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ নেতৃত্বপূর্ণ প্রেরণাময়ী শ্রেষ্ঠ ভাষণ দিয়ে আপামর বাঙালির মনে স্বাধীনতা লাভের বীজ অঙ্কুরিত করে দিয়েছিল।

১৮ মিনিটের এ ভাষণ উজ্জীবনী শক্তি হয়ে উঠেছিল বাঙালি জাতির মুক্তির চেতনায়। ১০ লক্ষাধিক জনতার সামনে বর্বর পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক- মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু তর্জুনী তুলে বজ্রকন্ঠে পরোক্ষ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল যা বাঙালির মনে ও বিশ্বের কাছে অনন্য দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মূলত ৭ই মার্চ ভাষণের প্রেরণা থেকেই বাঙালি গর্জে উঠেছিল,অস্ত্র ধরেছিল আর নিজের অধিকারকে চিনতে শিখেছিল। এমনকি সেই ডাকেই বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর অকুতোভয় নেতৃত্ব,অপরিসীম আত্মত্যাগ, বিচক্ষণ দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, প্রগতিশীল মনোভাব ও দেশপ্রেমের আলোকপাতের মাধ্যমে বঞ্চনা, অন্যায়, বৈষম্য ও নির্যাতনকে দূরে ঠেলে স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছিল। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে প্রেরণার বাতিঘর হিসেবে বাঙালি জাতির জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 লেখক: শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ চট্টগ্রাম কলেজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here