নিউজবাংলা ডেস্ক

রাজনীতির মহাকবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সাত দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর উত্তরাবাসিকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাচ্চাদের নিয়ে প্রদর্শনী দেখার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই লাল সবুজের পতাকার পেছনে যে মানুষটি আছেন, যে মহাকবি আছেন, সেই মহাকবি হচ্ছেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উত্তরাতে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি মুজিব মঞ্চ নির্মাণ করা হবে।

সোমবার (২২ মার্চ) সকালে উত্তরা সেক্টর-৩ এর ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ডিএনসিসির উদ্যোগে ‘রাজনীতির মহাকবি’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ, দর্শন, রাষ্ট্রচিন্তা ও ছয় দফার ওপর এক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।

মেয়র আতিক বলেন, উত্তরাতে আমরা ৭ দিনের জন্য একটি কিউব উদ্বোধন করে যাচ্ছি। উত্তরে তেমন কোন কিছুই নেই, এটা একটি বিরান ভূমি। তাই উত্তরা ৭ নং সেক্টরে আমরা একটি ‘মুজিব মঞ্চ’ করতে যাচ্ছি। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। উত্তরাতে কোন উন্মুক্ত মঞ্চ নেই। আমরা মুজিব মঞ্চ করছি, যার কাজ শুরু হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই লাল সবুজের পতাকার পেছনে যে মানুষটি আছেন, যে মহাকবি আছেন, সেই মহাকবি হচ্ছেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। উত্তরাবাসীকে কথা দিতে চাই কিছুক্ষণ পর যে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করব সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলা থেকে শুরু করে শেষ জীবন পর্যন্ত কি করেছেন তার পুরো ইতিহাস আছে। রাতের বেলাতেও লাইটের ব্যবস্থা থাকবে অনুরোধ করবো সবাইকে নিয়ে এসে, পরিবার নিয়ে এসে আগামীর বাচ্চাদের নিয়ে এসে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে এসে মহাকবির এই প্রদর্শনীটি দেখবেন।

এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাশেই যে লেকটি রয়েছে সেখানে ১২টি প্লট বরাদ্দ দিয়ে তার মধ্যে দশটি প্লটে রাতারাতি ভবন করা হয়েছে। বাকি দুটি প্লট আমরা দেই নাই। ওটিও বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চের জন্য রাখা হবে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আপনারা খিদির খালের অবস্থা দেখেছেন। ডানদিকে খিদির খাল বাম দিকে খিদির খাল, মাঝখানে খাল নেই। খালটি নিজেদের জন্য দখল করে বহুতলা ভবন করার হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করেছি।

মেয়র বলেন, আর একটি খালও কেউ দখল করে নিতে পারবে না। একটি মাঠও কেউ দখল করে নিতে পারবে না। অবশ্যই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জন্য সেই মাঠগুলো ফিরিয়ে দিতে চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here