ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ভুলে দেশকে শান্তির পথে এগিয়ে নিতে হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম কিংবা দেশ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এসময় দেশবিরোধী অপপ্রচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আজ রবিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই ধর্মকে এগিয়ে নিতে যারা কাজ করছেন তাদের সার্বিক উন্নয়নে সরকার সবধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সেনা সরকার কওমি মাদ্রাসার অনুমোদন তুলে নিয়েছিলো। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে কওমি মাদ্রাসার উন্নয়ন ও ইসলামের খেদমতে কাজ করছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত হলেই একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। আর কেউ যেন কওমি স্বীকৃতি বাতিল করতে না পারে সেজন্য এই আইন (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি) করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তারের জন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচারে লিপ্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচারে বিশ্বাস করবেন না। সরকার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর আগে, কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে শুকরানা স্মারক তুলে দেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও সংঠনটির চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসার আলেমদের এই শোকরানা মাহফিলে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত খেকে আসা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আলেম ওলামারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here