ঢাকা: সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, “আপনারা হাকিম হিসেবে কাউকে এমন হুকুম দেবেন যেন সেটা না নড়ে। আইন-কানুনের ভিত্তিতে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রবিবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে নির্বাহী হাকিমদের নিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের দ্বিতীয় দিন রোববার বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন। ভোট সামনে রেখে মোট ৭১৬ জন নির্বাহী হাকিমকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কাজ করবে। কারও নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, কারও নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, কারও নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব থাকবে। তাদেরকে আইনের আলোকে পরিচালনা করবেন।”

ভোটের সময় প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কঠোর হতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন সিইসি।

“তাদের ওপর প্রচুর চাপ থাকে, ওই এলাকার সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকে প্রিজাইডিং অফিসারের। তাকে সাহায্য করা আপনাদের দায়িত্ব। তাদের পরিচালনা করতে যাবেন না। তারা যখনই সহযোগিতা চাইবেন, তাদের করবেন। সহেযোগিতা না চাইলে বা সহযোগিতা করার পরিবেশ না থাকলে বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করে সহযোগিতা করবেন।”

ভোটের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আপনাদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জ্ঞানে কমতি ও অভিজ্ঞতার অভাব থাকলে সেটা পারবেন না।”

সেজন্য বিভিন্ন আইন, দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা, পুলিশ আইন, কার্যপ্রণালী বিধির ধারা তুলে ধরে তা আত্মস্থ করার তাগিদ দেন সিইসি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সবার সমান আচরণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্বকে বিচারকের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “বিচারকরাই এখন ভাগ্য বিধাতার প্রতিভূ। সততা নিষ্ঠা, আন্তরিকতা দিয়ে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন।”

আইনকে নিজস্ব পথে চলতে না দিলে নির্বাচন কখনও আইনানুগ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here