নিউজবাংলা ডেস্ক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা গ্রীণ সিটি হাউজিংয়ে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সিআইডি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক গাজি মিজানুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারপিট করে জখম করার ঘটনায় দুইজনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় সিআইডি কর্মকর্তার লুট হওয়া সরকারি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার দিনগত গভীর রাতে মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জামিউল হক মোকাররম ওরফে বুলেট ও হাবিবুর রহমান হাবিব।

মঙ্গলবার দুপুরে তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

হারুন অর রশীদ বলেন, মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় হাউজিং, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ বিভিন্ন হাউজিং সিটিগুলোতে মানুষ জমি কিনে থাকে। কারণ সহজে এসব জমি কেনা যায়। কিন্তু এই সব এলাকায় জমি দখলে নিতে গেলে বা বিক্রি করতে গেলে কঠিন হয়ে যায়। মোহাম্মদপুর বসিলা গার্ডেন সিটি থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় কর্মরত সিআইডি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তার বাসা থেকে সিআইডি হেডকোয়ার্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে বাসার কাছে তার নিজ নামে কেনা মোহাম্মদপুর গ্রীণ সিটি হাউজিং-২ এ প্লট দেখতে যান। দুপুর দেড়টার দিকে ওই জমিতে পৌছালে আগে থেকে সেখানে দলবদ্ধভাবে অবস্থান করা কিছু লোক তার গতিরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক গাজি মিজানুর রহমান রক্তাক্ত জখমসহ আহত হন। আসামিরা মিজানুর রহমানকে মেরে তার ব্যবহৃত সরকারি পিস্তল, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক গাজি মিজানুর রহমানের স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করলে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েক জন আসামির জড়িত থাকার তথ্য সংগ্রহ করে। পরবির্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি জামিউল হক মোকাররম ওরফে বুলেটকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম প্রকাশ করে। পরবর্তীতে তার দেখানো তথ্য মতে এই ঘটনায় জড়িত অপর আসামি হাবিবুর রহমান হাবিবকে মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে মিজানুর রহমানের নামে ইস্যুকৃত সরকারি ৭.৬২ এমএম পিস্তলটি ৮ রাউন্ড গুলিসহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইন মামলা হয়।প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের নামও তারা প্রকাশ করেছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, প্রায়ই মোহাম্মদপুরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরও সাত-আট জনের নাম আসছে। আমরা তাদের রিমান্ড চাইবো আদালতে। রিমান্ডে নেয়া হলে জানা যাবে তারা কার হয়ে কাজ করে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে যেসব ভূমিদস্যুদের নাম আসবে তাদের সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here