নিজস্ব প্রতিবেদক:
এ বিষয়ে আইনজীবী মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার গুলশান থানায় ২৬ অক্টোবর করা এ মামলায় মইনুলকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামায়াতের এজেন্ট বললে তিনি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাসুদা ভাট্টিসহ নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মইনুল প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। এ ছাড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এর পর রংপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়। রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।