নিউজবাংলা২৪ডেস্ক: করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  সোমবার দুপুরের বনানীর একটি হোটেল থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয় হয়।

এর আগে র‌্যাব রাজধানীর গুলশান থানায় ফয়সালসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিনের বড় ছেলে।

করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ সোমবার দুপুরের বনানীর একটি হোটেল থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয় হয়।

এর আগে র‌্যাব রাজধানীর গুলশান থানায় ফয়সালসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিনের বড় ছেলে।

ফয়সাল আল ইসলামের বাবা মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে একটি হোটেল আইসোলেশনে ছিল। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হয় সে।

মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগে আনা হয়েছে, নেগেটিভ রোগীকে করোনা পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেওয়া, পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া এবং অনুমোদন না নিয়েই র‌্যাপিড কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া আবুল হাসনাত নন–কোভিড ও কোভিড রোগীদের এক পরীক্ষা চারবার দেখিয়ে বিল করেছেন। একাধিকবার করোনা পরীক্ষার সনদ রোগীর ফাইলে সংযোজিত পাওয়া যায়নি। মামলায় আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিল রোগীদের কাছে। এ ঘটনায় সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পান । এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স গত বছর শেষ হয়ে যায়। এসবের সঙ্গে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল, সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও শাহরিজ কবির জড়িত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here