নিউজবাংলা ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’-এর দ্বিতীয় দিন আজ। এবারের ‘লকডাউন’-এর প্রথম দিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীজুড়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল দেখা গেছে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্বল্পসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করছে। তবে রাস্তায় বের হওয়া মানুষের ভরসা রিকশাতেই। ফলে সুযোগ বুঝে রিকশাচালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।

jagonews24

এদিকে, বিধিনিষেধ থাকলেও জীবন-জীবিকার সন্ধানে বাইরে বেরিয়েছে মানুষ। ফলে বিধিনিষেধের মধ্যেও রাস্তায় বের হওয়া যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে বেশ তৎপর দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকালের দিকে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী (মাছ, শাক-সবজিও ফলমূল) পাইকারি বাজার থেকে কিনে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বেরিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর সাড়ে ৭টার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা অফিসের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

jagonews24

কিন্তু ‘লকডাউন’-এর কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশায় তাদের ভরসা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা হারুণ মিয়া। তিনি মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তারক্ষী। সকাল ৮টায় শাহবাগ মোড়ে রিকশাচালককে মতিঝিলের ভাড়া জিজ্ঞাসা করতেই ৬০ টাকা হাঁকেন।

jagonews24

হারুন মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বাসে ১০টাকা ভাড়া দিয়ে অফিসে যাতায়াত করি। বাস বন্ধ থাকায রিকশায় যেতে হচ্ছে। কিন্তু ৩৫/৪০ টাকার ভাড়া এখন ৬০ টাকা চাইছেন রিকশাচালকরা। এ জন্য হেঁটেই অফিসে যাচ্ছি।’

নীলক্ষেত মোড়ে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক শাহ আলম যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন। একজন যাত্রী তার কাছে উত্তরার ভাড়া ঠিক করে উঠতে উঠতে বললেন, ‘এক মোটরসেইকেলে নাকি দু’জন ওঠা নিষেধ। পথে কোনো সমস্যা হবে না তো?’

jagonews24

প্রশ্নের জবাবে চালক বলেন, ‘পুলিশ ধরলে, আমি ম্যানেজ করুম। যাত্রী না টানলে আমরা না খাইয়া মরুম। এরপর মামলা দিলে দিবো? আপনার কোনো সমস্যা হবে না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here