নিউজবাংলা২৪ ডেস্ক: সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর পাশাপাশি সীমিত আকারে বাস, রেল ও লঞ্চের মতো গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তিনি প্রথমে জানিয়েছিলেন, ৩০ মে’র পর থেকে সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, এই সময়ে সব ধরণের বাস, রেল ও লঞ্চসহ সবধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে বিমান সংস্থাগুলো বিমান চলাচল চালু করতে পারবে।

পরবর্তী সময়ে তিনি জানান, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন জেলায় বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল ৩১ থেকেই চালু করা হবে।

বিভিন্ন জেলায় পরিবহনে যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সীমিত’ বলতে বোঝানো হয়েছে– গণপরিবহন চললেও তা নিয়ন্ত্রিতভাবে চলবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

তবে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি থাকবে। তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চলবে।

গণপরিবহন বলতে বাস, রেল ও লঞ্চ চলাচল বোঝানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিমান চলাচল চালুরও অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল শুরু করতে পারবে। ব্যক্তিগত পরিবহন চলবে।

তবে বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা কর্মস্থলে যোগদান থেকে বিরত থাকবেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা ১৩টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কোন অফিস সীমিত আকারে পরিবহন চালু করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত ওই প্রতিষ্ঠান নেবে। সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ ও ধর্মীয় প্রার্থনা চলবে।

তিনি জানান, রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত মানুষজনের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই সময়ে অকারণে বাইরে বের হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের দোকানপাট সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হবে।

বৈশ্বিক মহামারীর সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। সাত দফা বাড়িয়ে এই ছুটি শেষ হচ্ছে ৩০ মে।

আগের ছুটির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে এক আদেশে ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত নতুন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

২১ মে শবে কদর, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে।

সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হলে বিশ্বের আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে।

এরপর সেই ছুটির মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। তবে এর মধ্যে কিছু বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তাতে লকডাউন এবং ঘরের বাইরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার নিয়ম অনেকটাই কার্যকারিতা হারায়।

দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here