নিউজ বাংলা ডেস্ক :

আসাম রাজ্যে আবারও বিষাক্ত মদপানে অর্ধশত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন নারী।

আজ শনিবার সকালের এসব প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরো অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই চা-বাগানের দরিদ্র শ্রমিক।

এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিহতের সংখ্যা ৩২, ৪১ থেকে ৬৬ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে।

রাজ্য বিধানসভার স্থানীয় বিধায়ক মৃণাল শইকিয়া সংবাদসংস্থা থমসন রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রায় ১০০ জন শ্রমিক ওই বিষমদ পান করেছিলেন। খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ রয়টার্সের প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৪১ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পার্থ প্রতিম সাইকিয়ার বরাত দিয়ে দিল্লিভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল নিউজএইটটিন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটের শালমিরা চা বাগানে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একে একে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এই প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৬৬ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শালমিরা চা-বাগানের কাছেই জুগিবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি দেশীয় মদ কারখানার মালিকসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় গ্লাসপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকায় অবৈধ দেশীয় মদ পাওয়া যায়। এতে নিহতের সংখ্যা ৩২ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগেও বিষাক্ত মদ পান করে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। তার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও আসাম রাজ্যে ঘটল এ ঘটনা।

28Shares
 Share
 Tweet

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here