নিউজবাংলা ডেস্ক:
করোনা মহামারীর কারণে দারিদ্রের হার বাড়ায় পুষ্টি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। অপুষ্টির কারণে শিশুদের এক তৃতীয়াংশের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যহত হচ্ছে।
পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে স্বাগত রাখেন পিআইবি পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) মো. ইলিয়াস ভুইয়া। আলোচনায় অংশ নেন এফএও’র মিটিং দ্যা আন্ডার নিউট্রেশন চ্যালেঞ্জ প্রকল্পের চিফ
টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর নাওকি মিনামিগওসি (ঘধড়শর গরহধসরমঁপযর) ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ফিরোজ আল মাহমুদ।
ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য ও কৃষি বীটের ৩৫ জন সংবাদকর্মী অংশ নেন। এতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন পিআইবি সিনিয়র প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
মূল প্রবন্ধে মিজানুল হক কাজল বলেন, কোভিড ১৯ এর কারণে বাংলাদেশে ৯৫ ভাগ পরিবারের আয় কমেছে। ৫১ ভাগ পরিবারের আয় শূণ্য শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। ৩ শতাংশ পরিবারের কোনো খাবার নেই, ১৬ শতাংশ পরিবারের ১-৩ তিনের খাবার আছে এবং ২২ শতাংশ পরিবারের ৩০ দিন বা তার অধিক সময়ের খাবার আছে। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করে এবং এই কৌশলে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা পুনগঠন করার লক্ষে যে জীবন-চক্র পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে তিনি সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের কিছু দুর্বলতাও তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে- দুর্বল নজরদারি ও পর্যবেক্ষনের কারণে উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বৈততা পরিহার সংক্রান্ত ত্রুটি, যে পরিমাণ অর্থ বা ভাতা প্রয়োজন তা দরিদ্র মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌছানো যাচ্ছে না, বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতার অপ্রতুলতা।
পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সুষম খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিহীন জনসংখ্যার হার কমলেও এখনো অসংখ্য শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। জনগণকে পুষ্টিকর খাবার দিতে না পারলে বিকলাঙ্গ ভবিষ্যৎ ও বিকলাঙ্গ সমাজ গড়ে ওঠবে।
নাওকি মিনামিগওসি বলেন, পুষ্টি সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা বিষয়ক সেকেন্ড কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বাস্তবায়নের অন্যতম স্থম্ভ হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষা। তিনি খাদ্য নিরাপত্তার চারটি দিক তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে-খাদ্যের পর্যাপ্ততা, প্রাপ্যতা, খাদ্যের যথার্থ ব্যবহার এবং এ তিনটি বিষয় নিশ্চিত করা।