হুমায়ুন কবির সোহাগ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

গত ২৮ নভেম্বর সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলাতেও তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনের ৯ নম্বর বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী তালা প্রতীকের মোঃ সুমন শেখ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন। এজন্য ২৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দেন তিনি। আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, ভোট গণনার সময় বিভিন্নভাবে আমার এজেন্টকে হুমকি-ধামকি দিয়ে গণনা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বারোবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ২৯৩৯ জন।এই ওয়ার্ড মেম্বার পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তালা প্রতীকের সুমন শেখ,সিলিং ফ্যান প্রতীকের সেলিম রেজা, মোরগ প্রতীকের মোঃ শরিফুল, ফুটবল প্রতীকের ইদ্রিস আলী ইদু,ব্যাট প্রতীকের আজগর আলী ও টিউবওয়েল প্রতীকের জি এম শাহীন রেজা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন । ১০৫৭ ভোটে জি এম শাহীন রেজাকে মেম্বার পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তালা প্রতীকের সুমন শেখ। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৪৫১। এ ব্যাপারে সুমন শেখ জানান, আমাদের ভোটকেন্দ্রে ৪ টি বুথে ভোট নেওয়া হয়।আমার এজেন্ট এর মাধ্যমে জানতে পারি,ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় প্রথম বাক্সে তালা প্রতীকের ভোট বেশি হওয়ায় বাকি ৩টি বাক্স উক্ত গণনা রুমের না খুলে দোতালায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আমার তালা প্রতীকের এজেন্টদেরকে ২০ মিনিট রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। মূলত দুস্কৃতিকারীরা এই সময়ের মধ্যে আমার ভোট কারচুপি করেছে বলে আমি মনে করি। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমি একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। কিন্তু এই ধরনের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনার একতিয়ার উপজেলা নির্বাচন অফিসের নাই। আবেদনকারী জেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে মামলা করলে তিনি এর সমাধান পাবেন। উল্লেখ্য ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে ইউনিয়নে বেদে সম্প্রদায়ের জনগণ বসবাস করছে দীর্ঘদিন যাবত। এই সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের প্রয়োজনে সব সময় সুমন শেখকে কাছে পান। এ কারণে তাদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেম্বার পদে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন সুমন শেখ। কিন্তু কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়েছে বলে বেদে সম্প্রদায়ের অনেকে মনে করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here