হুমায়ুন কবির, ঝিনাইদহ সংবাদদাতা :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কোভিড–১৯ বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হল । দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এই ঈদ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে; সারা বিশ্বের মুসলমান এটি পালন করেন খুশির উৎসব হিসেবে। কিন্তু পরপর দুই বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান এই উৎসবের আনন্দ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চলমান করণা মহামারির কারণে। এই মহামারিতে বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৩৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৬। পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগেই করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার ফলে এবারও লকডাউন বা ‘বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়।কিন্তু এবারের লকডাউন যেহেতু আগেরবারের তুলনায় বেশ শিথিল। কালীগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা যারা কর্মের কারণে বাহিরে থাকেন তারা ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে নিজ উপজেলা কালীগঞ্জ এ এসেছে আপনজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। ঢাকা থেকে কালীগঞ্জে ঈদ করতে আসা মেহেদী হাসান জানান, অফিস ছুটির পর বাড়িতে আসতে তার বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দূরপাল্লার পরিবহন না চলায় একদিকে যেমন গাড়ি সংকট অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কালীগঞ্জ উপজেলায় এবারও ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে মসজিদে। নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের মসজিদে গিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে , মাস্ক ব্যবহার করতে , কোলাকুলি–করমর্দন ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে সরকারি নির্দেশনায় বলা হলেও তা মানা হয় নি ।সরোজমিনে কয়েকটি মসজিদের ঈদ জামাতের চিত্র ছিলো স্বাস্থ্যবিধির একেবারে উল্টো। ছিল না শারীরিক দূরত্ব, আবার অধিকাংশ মানুষও মাক্স বিহীন মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য এসেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের কিছু গ্রামে ঈদের জামাত মসজিদে না করে ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। সর্বোপরি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে বেশ উদাসীনতা লাভ পরিলক্ষিত হয়।