নিউজবাংলা২৪ রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৭ বছর করে ‘দ্য বাংলাদেশ ব্যাংক (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগের আইন অনুযায়ী ৬৫ বছর পর কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকতে পারতেন না। সংশোধিত আইনে তা দুই বছর বাড়ানো হচ্ছে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘দি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭১’ এর আর্টিকেল ১০ এর ক্লজ-৫ এর বিধান অনুযায়ী গভর্নরের কার্যকাল বা মেয়াদ পাঁচ বছর এবং তাকে পুনঃনিয়োগ করা যাবে। তবে ওই ক্লজ-৫ এর শর্তাংশে উল্লেখ রয়েছে যে, ৬৫ বছর বয়স পূর্তির পর কোনো ব্যক্তি গভর্নর পদে আসীন থাকতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে ৬৫ বছরের পর গর্ভনর হিসেবে নিযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে দায়িত্বপালনকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেও পুনঃনিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না। পাশের দেশ ভারত ও শ্রীলংকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে সর্বোচ্চ বয়সসীমা উল্লেখ নেই বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত আইন অনুযায়ী গভর্নরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে আরো দুই বছর এই পদে রাখতে আইন সংশোধন করা হয়েছে। আগামী ৩ জুলাই ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখনকার আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে ফজলে কবিরের মেয়াদ বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ তার বয়স ৬৫ বছর ছুঁই ছুঁই। নতুন আইনের ফলে তাকে এই পদে আরো দুই বছর রাখতে পারবে সরকার।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা স্থানান্তর সহজ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর : এদিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা স্থানান্তর প্রক্রিয়া সহজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগের সচিবকে আগামী ২ মাসের মধ্যে এটি করতে বলেছেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যারা বাইরে থেকে আসবে বিনিয়োগ করতে একটা কমপ্লিকেসির (জটিলতা) বিষয়ে আমাদের জানিয়েছে। তারা যে বিনিয়োগ করবে, তারা একটা এগ্রিমেন্টের আন্ডারে মুনাফা পাবে। সেই মুনাফাটা তারা কীভাবে এখান থেকে নিয়ে যায়, আমাদের যে সিস্টেম তাকে বিনিয়োগকারী যারা এখানে এসেছেন তারা বলেছেন, এখানে কিছু কমপ্লিকেসি আছে। এই কমপ্লিকেসি যদি কমানো না হয়, তাহলে বাইরে থেকে বিনিয়োগ এর চেয়ে বেশি আসবে না।’