হুমায়ুন কবির, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে নিখোঁজের সাতদিন পর রিপনবিশ্বাস (৩৪) নামের এক কৃষকের অর্ধগলি তমৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চররুপদা গ্রামের একটি পতিত ডোবার মধ্যে মাটিচাপা অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। সে ওই গ্রামের আব্দুল মৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ছেলে। গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৯ টার দিকে রিপন বাড়ির পাশের মাঠে ধান পাহারা দিতে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজিঁ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। একদিন পর দিন ১০ ডিসেম্বর নিহতের ভগ্নীপতি নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিহতের ভগ্নীপতি নজরুল ইসলাম জানায়, নিখোঁজের সাতদিন পর বুধবার সকালে রিপনের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় মাটি এ্যলোমেলো দেখে সেখানে খোঁজাখুজিঁ শুরু করে পরিবারের লোকজন। সেখানে পাওয়া যায় রিপনের মরদেহ। রিপন বিশ্বাস দেড় বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে কৃষিকাজ শুরু করে। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে তার জমিজমাসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। নিহতের প্রতিবেশিরা জানায়, সম্প্রতি জমিজমা নিয়ে রিপনের সাথে তার অন্য ভাইদের বিরোধ শুরু হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেও ভাইদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে একে অপরের দিকে ধারালো দা নিয়ে চড়াও হয়। তবে পরিবারের অন্যরাতা থামিয়ে দেয়। রিপন নিখোঁজ হওয়ার দু-দিন পর থেকে তার মেজো ভাই রান্নু বিশ্বাসও নিখোঁজ রয়েছে। ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) আরিফুল ইসলাম ও শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। আপাতত মৃতদেহের শরীরের তেমন কোন ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। হত্যার ক্লু-উদঘাটন ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতাওে কাজ চলছে। আশাকরি দ্রুতই দোষিরা গ্রেফতার হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here