সৈয়দা ফারজানা হোসাইন 
বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধ। সুদীর্ঘ নয় মাস মাতৃভূমির মুক্তির জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বহুস্তরীয় ভ‚মিকায় অভিনিবিষ্ট হন। মুক্তিযুদ্ধে নারীরা সংগঠক, নেত্রী কিংবা যোদ্ধা সব ক্ষেত্রেই গৌরবোজ্জ¦ল ভ‚মিকা রেখেছেন। তারা তাদের স্বামী, সন্তান, ভাইকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়ে ক্ষান্ত হননি, তাদের অনেকেই রণাঙ্গণে সরাসরি যুদ্ধও করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করতে নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ সুইসাইড স্কোয়ার্ডের সদস্য হয়ে গেরিলা হয়ে কাজ করেছেন। ১ অনেক নারী মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সদা সংযুক্ত থেকেছেন, শত্রুপক্ষের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক থাকতে, কখনোবা যুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার মধ্যদিয়ে।
ফোরকান বেগম
ফোরকান বেগম (জন্ম ১৯৫০) ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গেরিলা নেত্রী। তাঁর বাবা মো. তমিজউদ্দিন ভুইয়া এবং মা রোকেয়া বেগম। ফোরকান বেগমের মা একজন মুক্তিযোদ্ধা । ১৯৭১ সালে মার্চে তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রী থাকাকালীন দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ পাল্টে যায়। ওই সময়ই রোকেয়া হল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর মাঝে যুদ্ধচেতনা গড়ে ওঠে। তারা তখন গেরিলা প্রশিক্ষণ, অস্ত্র প্রশিক্ষণ, কর্মী সৃষ্টিসহ মহল্লায় সংগঠন গড়ে তুলতে থাকেন। ফোরকান বেগমও এসব কর্মকান্ডে সফলভাবে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, রোকেয়া হলের ছাত্রীদের সঙ্গে বদরুন্নেছা কলেজ, ইডেন মহিলা মহাবিদ্যালয়, সিদ্ধেশ^রী স্কুল-কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, রাজশাহী কলেজ সহ অসংখ্য ছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ গ্রহন করে সশস্ত্র যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রে যেসব নারী যুদ্ধ করেছেন তাঁদের মধ্যে
বরিশালের করুনা বেগম, শোভা রানি, বীথিকা বিশ্বাস, শিশির কনা, সাহারানা শোভা, গোপালগঞ্জের আশালতা বৈদ্য, মেহেরুন নেছা, পটুয়াখালীর মনোয়ারা বেগম, যশোরের সালেহা বেগম, সুনামগঞ্জের পেয়ার চাঁদ, নারায়ণগঞ্জের ফোরকান বেগম, কুড়িগ্রামের তারামন বিবি পুরুষের সাথে অস্ত্রহাতে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। ২
ফোরকান বেগমের নেতৃত্বে প্রথম আট(৮) সদস্য লম্বুচোরা ক্যাম্প, আগরতলায় ক্যাম্পের পলিটিক্যাল মটিভেটর ছিলেন আমিনুল হক, প্রশিক্ষক ছিলেন ভারতের ইন্টেলিজেন্ট ব্রাঞ্চের মেজর কে বি সিং ও মেজর আর সি শর্মাসহ কয়েক জন। তাঁদের প্রশিক্ষণে ছিল সব ধরনের আধুনিক অস্ত্র চেনা, পরিচালনা ও ধ্বংস করার কৌশল। একই সাথে শত্রæপক্ষকে ডিটেক্ট করা, তাদের ব্যবহৃত কোড বুঝতে পারাও প্রশিক্ষণের অন্যতম কাজ ছিল। ফোরকান বেগমের নেতৃত্বে প্রথম দলে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীগণ হলেন ফরিদা খানম সাকী, মমতাজ বেগম, মিনারা বেগম ঝুনু, শামসুন্নাহার ইকু, আলেয়া বেগম, স্বপ্না চৌধুরী, আমেনা সুলতানা বকুল।
নারীদের গেরিলা ট্রেনিং এর জন্য বিভিন্ন শরনার্থী শিবির থেকে শতাধিক মহিলাকে নির্বাচিত করি।  প্রথমে এদেরকে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে এবং তাদের মধ্য থেকে সুইসাইড স্কোয়ার্ডের জন্য উচ্চতম প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এভাবে আমরা নারী পুরুষ উভয় সেক্টরে সমতালে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করতে থাকি। ৩
যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধের পাশাপাশি ফোরকান বেগম ও তাঁর সহচরীগণ সেবামূলক কাজ করেন। আহতদের অসুস্থদের সেবা শুশ্রুয়ার জন্য নার্সিং স্কোয়াড গঠন করেন। বিভিন্ন ক্যাম্পে কাজে লেগে যান তাঁরা। ফোরকান বেগম মহিলা গেরিলা স্কোয়ার্ডের লিডারশিপের দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁর দলের অন্যান্যরা নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আহতদের সেবা দিতে সক্ষম হয়। কেননা
মুুক্তিযুদ্ধে নারীদের একটি বড় অংশ অবদান রেখেছে সেবামূলক কাজে। যেভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারীরা কাজ করছিলেন তা চিরস্মরণীয়। অন্যদিকে গ্রামের নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার তৈরি যে মায়া/ মমতা/ স্নেহ নিয়ে করতেন তা চিরজীবন মনে রাখার মতো। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মকান্ডেও নারী অংশগ্রহণ-আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণ দিয়েছিল। ৪
যুদ্ধকালীন বিপর্যস্ত সময়ে দেশের ভেতর ও বাহিরে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ও নেতাদের তথ্যাদি সংগ্রহ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাঁদের যাতায়াত পথ তৈরি করা এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত সতর্ক অবস্থান তৈরিতে একদল মুক্তিযোদ্ধা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ফোরকান বেগম তাঁর নিজগ্রাম পুটিনায় এসমস্ত কার্যক্রম শুরু করেন একদল মুক্তিকামী তরুনদের নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের সাথে কালীগঞ্জ, কাঞ্চন, ঘোড়াশাল শিল্পাঞ্চল এলাকাসহ মুক্তিযুদ্ধের ইউনিটগুলোর সাথে যোগাযোগ স্খাপন এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে তাঁরা কাজ করেন।
বাংলার স্থল-জল আকাশ পথে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরদর্পের কথা যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তখন ওপার বাংলার আগরতলার সাধারণ মানুষেরাও যেন আমাদের মতোই নিত্যদিন মুক্তিযোদ্ধাদের খবরা-খবর জানতে আগ্রহী। অনেকটা অভ্যস্তের মতোই। বাংলার দামাল-কামাল মুক্তিযোদ্ধারা বর্ডারে ভেতরে বীরদর্পে লড়ে যাচ্ছে। আহত হচ্ছে, শহিদ হচ্ছে প্রচুর। আহতদের অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফোরকান বেগম ও তাঁর সঙ্গীরা নিয়মিত ট্রানজিট ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন। কেননা, দেশের সার্বিক অবস্থার খবরাখবর ট্রানজিট ক্যাম্প থেকেই পাওয়া যেতো। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা আহত মুক্তিযোদ্ধা বা শরনার্থীও সাথে ক্যাম্প বা হাসপাতালে যাওয়াও তাঁদের কর্মপরিধির অংশ ছিলো।
ফোরকান বেগম নারী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মরক্ষার কৌশল ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন। যেসব নারী অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিতে সক্ষম ছিলেন না। তাদের বিভিন্ন প্রকার আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হতো। যাতে তারা রাজাকার ও পাকিস্তানি সৈন্যদের হাত থেকে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেন। বিশেষ করে হিন্দু নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে তাদের সিঁথির সিঁদুর মুছে শাড়ি কাপড় মুসলমানদের ঢং য়ে পরিয়ে দিতেন। এছাড়া বৃদ্ধা নারীদের মটিভেট করার মাধ্যমে ফোরকান বেগম ও তাঁর দল অনন্য ভ‚মিকা পালন করেছেন। ফোরকান বেগম এবং অন্যান্য অন্যান্য স্বাধীনতাকামী মেয়েদের উদ্দেশ্য এক বৃদ্ধার অনুভূতি-
তোরা আমার কোন জনমের মেয়ে ছিলি। তাইতো তোরা আমাদের রক্ষা করতে ঢাকা থেকে এসেছিস। আমাদের এতো সুন্দর বুদ্ধি বাতলে দিলি। কদ্দিন আগে এসব বুদ্ধি  পরামর্শ পেলে কী আর আমাদের এতোটা কষ্ট করতে হেেতা। পাক সেনাদের কোপানলে পরে ঘর-বাড়ি পোড়াতে হতো? থাক মা তোরা আমাদের কালেমা সূরা ফাতেহা শিখিয়ে দে। ৫
শুধু  মহিলাদের নয় পুরুষদেরও মটিভেট করার মাধ্যমেও মুক্তিযুদ্ধে অবদার রেখেছেন ফোরকান বেগম। পুটিনা থেকে আগরতলা আগরতলা রণাঙ্গণের দীর্ঘপথে অসংখ্য কট্টরপন্থী মুসলিম লীগের সমর্থকদের মটিভেট করতে পেরেছিলেন। একজন পাকিস্তানপন্থীকে তাদের পুরানো ধ্যান-ধারণা থেকে সরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিতে পরিণত করার মতো দুঃসাহস তিনি দেখিয়েছেন। অসংখ্য মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম একটি মানচিত্রের। আর এই স্বপ্ন পূরণে পরবর্তীতে তারা বদ্ধপরিকর ছিলেন।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। চারদিকে তখন যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রচন্ডতা বেড়েই চলেছে। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বাংলার জনগণ প্রাণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। শতশত মুক্তিকামী প্রাণ চিরতরে নিভে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই গুজব রটলো, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আর বেঁচে নেই। পাকবাহিনী তাঁকে হত্যা  করেছে। এ খবরে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই বঙ্গবন্ধুর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। অ্যামেরিকার তৎকালীন সেনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি এসেছিলেন শরনার্থী শিবির ও যুদ্ধাহতদের পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখার উদ্দেশ্যে। ফোরকান বেগম ও তাঁর সঙ্গী ঝুনু গিয়েছিলেন জিবি ও ভিএম হাসপাতালে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেনেডির সঙ্গে দেখা করেন। কেনেডিকে জানান, কীভাবে-
নৃশংস পশুর দল পাক হানাদার বাহিনীর চরম পৈশাচিক আক্রমণ, কীভাবে হানাদার বাহিনীর মর্টার, মেশিনগান , কামানের গুলিতে আত্মাহুতি দিলেন। কীভাবে গ্রামকে গ্রাম, মহল্লা, শহর , বন্দর নগর আগুনে পুড়ে ছারখার করে দিল ইয়াহিয়া-টিক্কার হায়েনা বাহিনী। কীভাবে অত্যাচারের স্টিমরোলার চালালো নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর, আবালবৃদ্ধবনিতার ওপর। ৬
মি. কেনেডিকে তিনি বিনীতভাবে অনুরোধ করলেন, কেনেডি যাতে বঙ্গবন্ধু কোথায় আঝেন, কীভাবে আছেন, বেঁচে আছেন কিনা এসব খবর পৌঁছে দেন। মি. কেনেডি প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিলেন ১৫ দিনের মধ্যেই তিনি বঙ্গবন্ধুর খবর জানাবেন। কেনেডি চলে যাবার পর ঠিক সাত (৭) দিন পরেই ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রচারিত হয়, ঢাকা  বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর প্রশ্নের উত্তরে কেনেডি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। তিনি পাকিস্তানের মিয়াল ওয়ালী জেলে আছেন।
শরনার্থী শিবিরগুলোতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অসাধারণ ভ‚মিকা রাখেন ফোরকান বেগম। তিনি গেরিলা ক্যাম্পে হোচিমিন, চেগুয়ে ভারা, নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, কামাল আতাতুর্ক, মাও সে তুং, লেলিন, ফিদেল কাস্ত্রোসহ বিশ্বের সংগ্রামী নেতাদের জীবন কাহিনী ও সংগ্রামের ওপর লিখিত পুস্তকাদি পড়ে শোনাতেন। ফোরকান বেগম আহত মুক্তিযোদ্ধাদের শরণার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া, রক্ত ও ওষুধ জোগাড় করে হাসপাতালে ভর্তি করাসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক কাজ করতেন।
ফোরকান বেগম গেরিলা আওয়ামী মহিলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন এবং এসব কমিটি ও স্কোয়াডের কাজে রাত-দিন ব্যস্ত ছিলেন। তখন আগরতলার চিপ মিনিস্টারসহ বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের অনেকেই তাকে এক নামে চিনতে শুরু করেন তাকে। তিনি অসংখ্য মানুষকে দেশ মাতৃকার মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এমনকি নিজেও আশাবাদী ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য। পাকবাহিনী কর্তৃক তার বিরুদ্ধে ঘাতক স্পাই প্রেরণ করা হলেও তিনি দমে যাননি। পূর্বের মতন নিজের দায়িত্বে পালন করেছেন। একজন ফোরকান বেগমকে মৃত্যু ভয় দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি, বরং তিনি সাহসী ভ‚মিকা পালন করেছেন যুদ্ধকালীন প্রতিটি সময়ে।
মানুষের মহৎ কাজের মূল হচ্ছে মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা। কোন কিছু পাবার প্রত্যাশায় কেউ মহৎ কাজ করেন না। ফোরকান বেগমও তাঁদের একজন। দেশ মাতৃকার ভালোবাসায় যুদ্ধে নেমেছিলেন। নিজ প্রাণ বাজি রেখে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন । যুদ্ধকালীন বাস্তবতায় অগণিত নারীর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
গ্রন্থপঞ্জি
১। ফোরকান বেগম, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নারী, নারায়ণগঞ্জ ১৯৯৮ পৃ. ২৩
২। শাহনাজ পারভীন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীর অবদান, বাংলা একাডেমি, ঢাকা ২০০৭ পৃ. ৮০-৯০
৩। ফোরকান বেগম, প্রাগুপ্ত পৃ. ২৪৭
৪। শওকত আরা হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও নারী আগামী প্রকাশনী, ২০০০, পৃ. ৩৪
৫। ফোরকান বেগম , প্রাগুপ্ত পৃ. ৪৭
৬। ফোরকান বেগম, প্রাগুপ্ত পৃ. ৬৫

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here