নিউজবাংলা ডেস্ক:

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরীকে (নিক্সন) আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) হুমকি ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করার ঘটনায় অ্যাসোসিয়েশন এ দাবি জানায়।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং মহাসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন থেকে ৯ অক্টোবর ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এতে স্থানীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (ফরিদপুর-৪) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ওই দিন সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে ফোনে অধিক সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করায় অসন্তোষ প্রকাশ এবং মহাসড়ক অবরোধসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

‘১০ অক্টোবর নির্বাচন শেষে চরভদ্রাসন উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী জনসভায় রাত সাড়ে ৮টায় নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে চেয়ারম্যান পদে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী প্রার্থী, স্থানীয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও তার অনুসারীরা নির্বাচনে ১২ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের প্রতি বিষেদগার করেন। দায়িত্ব পালনরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন এবং তার অনুসারীদের দিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়ায় উৎসাহিত করেন, যা একজন সংসদ সদস্য অথবা একজন সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন ভদ্রলোকের পক্ষে অকল্পনীয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘তিনি (নিক্সন চৌধুরী) নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনরত ভাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনকারী এক ব্যক্তিকে আটক রাখায় চরভদ্রাসন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ফোন করে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন নারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও একজন সংসদ সদস্য যে ধরনের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন-তা বাঙালি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি চরম অবমাননাকর। ওই কর্মকর্তা ফোনালাপের সময় অত্যন্ত ধৈর্য ও স্থির থেকে তার পেশাগত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের ভাবমূর্তি দৃঢ় করেছেন।’

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়ন, আইন-শৃঙ্খলা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন, পরীক্ষা পরিচালনা, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ ইত্যাদি কাজ করতে হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরূপ মানহানিকর ও অশোভন উক্তি তাদের কর্মস্পৃহায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং হতাশ করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here