নিউজবাংলা ডেস্ক:
শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে ভারতে হারিয়ানার গুরুগ্রামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠিসোঁটা, লোহার রড দিয়ে ৫ জনের একটি দল ওই যুবকের উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে তাকে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত ওই যুবকের নাম আকাশ সিংহ। সে রাজস্থানের অলওয়ারের বাসিন্দা। পাঁচ মাস আগে এক তরুণীকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন তিনি। গুরুগ্রামের ভোন্ডসীতে থাকতেন তারা। রোববার স্ত্রীকে নিয়ে বাদশাহপুরে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানেই দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অটো রিকশায় চেপে যাচ্ছিলেন আকাশ। ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন অভিযুক্তরাও। পাশ কাটাতে গিয়ে সেই সময় তাদের মধ্যে একজনের গা ছুয়ে যায় অটোটি। এতেই অটো আটকে ঝগড়া শুরু দেন অভিযুক্তরা। লোহার রড, লাঠি এবং পাইপ নিয়ে নিয়ে আকাশের ওপর চড়াও হন তারা।
আকাশের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তরা। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালান আসামিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আকাশের পরিবারের লোকজন। স্থানীয়দের সাহায্যে আকাশকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সফদরজংয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় আকাশের। তবে পুলিশের কাছে কোনো সাক্ষ্য দিয়ে যেতে পারেননি আকাশ।
নিহতের ভাই রাহুল সিংহের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, উচ্চবর্ণের ছেলে হয়েও নিম্নবর্ণের তরুণীকে কেন বিয়ে করেছেন, তা নিয়ে আকাশকে বেশ কিছু দিন ধরেই শাসাচ্ছিলেন অভিযুক্তরা। গ্রামে ঢুকলে তাকে উচিত শিক্ষা দেবেন বলে হুমকিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। তা মিটিয়ে নিতে রোববার ফের সেখানে পা রাখেন আকাশ। তার পরেই এই ঘটনা।
রাহুল আরও জানিয়েছেন, দাদা মার খাচ্ছেন শুনে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। কিন্তু পিস্তল দেখিয়ে তাকে খুন করার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। কিছুক্ষণ পর ফের সেখানে যান তিনি। ততক্ষণে অভিযুক্তরা চলে যায়। তারপর আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতাল থেকেই পুলিশে খবর দেয়া হয়।