ঢাকা: প্রয়োজনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো যেতে পারে, তবে তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে পরিচালক ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একক দল নয়, বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক দল আছে সবাই যদি বলে তাহলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এর মধ্যে সব রাজনৈতিক দল যদি বলে নির্বাচন কয়েকদিন পিছিয়ে দেন তখন পিছিয়ে দেওয়া যাবে।’
২৮ জানুয়ারি তো দূরে আছে এক্ষেত্রে আপনাদের হাতে অনেকটা সময় আছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, ‘সময় থাকে না। কারণ নির্বাচনের জন্য জানুয়ারি নানা কারণে ডিস্টার্ব মাস। জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হয়। আমি যতদূর জানি দুই দফায় একারণে ১৫-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ, র্যাব নিয়োগ করা হয়। ১ তারিখের পর থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকে। এছাড়া এ সময়ে অনেক শীত ও কুয়াশা থাকে। এজন্য চর ও হাওর অঞ্চলে ঝুঁকি থাকে। সেকারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
প্রশিক্ষণ উদ্বোধন কালে সিইসি বলেন, ‘সীমিত আকারে শহরাঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোথায় ব্যবহার করা হবে এটি কমিশনের হাতে থাকবে না। দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে যদি ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা স্বার্থ রক্ষা না হলে ভোটারদের ওপর এটি জোড় করে চাপিয়ে দেবো না।’
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে। এরপর ৫ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে তফসিল স্থগিত রাখার। কিংবা সংলাপের ফলাফল জেনে তফসিল ঘোষণা করা।
নির্বাচন কমিশন তফসিল দিয়ে ৪৫ দিনের কাছাকাছি বা ২০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোটগ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।