নিউজ বাংলা ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রাম। সর্বগ্রাসী পদ্মার সঙ্গে লড়াই করতে করতে এখানকার মানুষগুলো হয়ে উঠেছে সংগ্রামী। তারা এখানকার প্রকৃতির মতোই টিকে থাকার লড়াইয়ে সর্বক্ষণ অবতীর্ণ। পদ্মার তুমুল ভাঙনে যখন এই ফিলিপনগরের অস্তিত্বই বিলীন হওয়ার মুখোমুখি, তখন এই গ্রামকে রক্ষায় নদীতীরে দেওয়া হয়েছে বাঁধ। নদীর পাড় ঘেঁষে ছোট ছোট কংক্রিটের ব্লকের অসংখ্য সারি একে করে তুলেছে অপরূপ।
নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চরে ঘাস-লতা-পাতা জন্মে হয়ে উঠেছে একখণ্ড সবুজ। নদীর পাড়ে কংক্রিটের ওপর দাঁড়ালেই ওপার থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকে সেই সবুজ চর। তখন সেই ডাক উপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে যেকোনো দর্শনার্থীর জন্য। তাই নৌকায় পার হয়ে নিয়ে আসতে হয় চরের স্পর্শ।
এই সৌন্দর্যের টানেই প্রতিনিয়ত দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ বেড়াতে আসে ফিলিপনগর নদীতীরে। ইদের সময় তা পায় নতুন মাত্রা। নদীর পাড়েই গড়ে ওঠে ছোট-বড় নানান কিসিমের দোকান। অসংখ্য মানুষের পদচারণা, নাগরদোলার ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দে মনে হয় যেন মেলা বসেছে।
এবারের ইদেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইদের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও মানুষ বর্ষার গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে এখানে বেড়াতে আসছে। দিনে দিনে ফিলিপনগর নদীতীর হয়ে উঠছে দর্শনার্থীদের প্রিয় জায়গা; হয়ে উঠছে এক পর্যটন কেন্দ্র।