স্পোর্টস ডেস্ক

প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছিল ফেভারিট রংপুর রাইডার্স। কিন্তু হেরে যাওয়া ম্যাচেও প্রশংসিত হয়েছিল মাশরাফির অধিনায়কত্ব। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে খুলনাকে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নেয় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সে ম্যাচে বড় কিছু করতে না পারলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ব্যাটসম্যানদের চোখের জল আর নাকের জল এক করে ছেড়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। বিধ্বংসী বোলিংয়ে চার ওভার বোলিং করে একটি মেডেন সহ নিয়েছেন ৪টি উইকেট। যাতে মাত্র ১১ রান খরচ করেছেন।
কুমিল্লার টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটসম্যানই মাশরাফির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ওপেনার তামিম ইকবালকে দিয়ে শুরু। ইমরুল কায়েসকেও গা গরম হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। ১৬ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দুই রান যোগ করতেই এভিন লুইসকে ফেরান বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। শুরুতেই তিনটি উইকেট পড়ে গেলে কুমিল্লার দুই বিদেশি শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জুটি বাঁধেন। সবাই ভাবছিল হয়তো এবার বিপর্যয় সামলে উঠবে ভিক্টোরিয়ানসরা। কিন্তু মাশরাফি ম্যাজিকের তখনও যে কিছুটা বাকি!
শফিউলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শোয়েব মালিক। আর দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই দারুণ এক স্লোয়ারে ফরহাদ রেজার ক্যাচ বানিয়ে স্টিভেন স্মিথকে বোকা বানান ম্যাশ। মাত্র ১৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিণত হয় কুমিল্লা শিবির। শহীদ আফ্রিদি এসে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও একের পর এক উইকেট হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। নিজে অসাধারণ বোলিংয়ের পাশাপাশি মাশরাফি অন্য বোলারদেরকেও ব্যবহার করেছেন দারুণ দক্ষতায়। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
এমন মাশরাফিকে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন কোটি ভক্তরা। ভক্তদের নিরাশ না করে দ্রুতই নিজের আসল চেহারায় হাজির হলেন তিনি। আর বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি।