নিউজবাংলা ডেস্কঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ভাষা আন্দোলনের চেতনা ছড়িয়ে দিতে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করে বর্তমান প্রজন্মের নিকট ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও চেতনা তুলে ধরতে হবে। কারণ পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালি জাতিকে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য রক্ত দিতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের চেতনা থেকেই বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীনতার তাগিদ অনুভূত হয়েছে। তাই আমাদের জাতীয় চেতনায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।”
শনিবার দুপুরে জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালির ভাষা দিবস এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আন্তর্জাতিক মহলে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছে। যার কারণে আমাদের এই অহংকার অর্জন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হওয়া বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের মানুষের চেতনার ফলে দেশপ্রেম, দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই চেতনা থেকে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা অত্যাবশ্যক। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেখানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি না থাকলে টিআর-এর অর্থ থেকে সেসব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।
পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নিয়ামতপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় যোগদান করেন।