বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও পোলিং এজেন্ট না রাখার প্রতিবাদে নির্বাচনের আগের দিন আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন প্রার্থীরা। তাঁরা সাত দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
দাবিগুলো হলো-১. সবার ভোট গ্রহণের বাস্তব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের সময় আরো চার ঘণ্টা বাড়ানো; ২. নির্বাচনকেন্দ্রিক শঙ্কা ও ধূম্রজাল নিরসনের লক্ষ্যে সব ধরনের মিডিয়ার কেবল পোলিং বুথের অভ্যন্তর ছাড়া নির্বাচনী এলাকা ও ভোটকেন্দ্রের সব তথ্য সংগ্রহের অবাধ সুযোগ তৈরি করা; ৩. ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে নিরুৎসাহিত করাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ৪. স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি প্রদান; ৫. নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ; ৬. প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল বেলা ব্যালট পেপার নেওয়া এবং ৭. ভোট গ্রহণের দিন সকাল বেলা সব রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
ছাত্রদল, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বামপন্থীদের প্যানেল প্রগতিশীল ছাত্রঐক্যসহ বেশ কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা আজ বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেন। নির্বাচনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট না থাকায় ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, সে বিষয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদানকালে নিজেদের প্যানেলের অন্য প্রার্থীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি পদপ্রার্থী নূরুল হক নূর ও জিএস পদপ্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খান, বামপন্থীদের প্যানেল প্রগতিশীল ছাত্রঐক্যের ভিপি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী এবং স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের জিএস পদপ্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমানসহ বেশ কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে কাল সোমবার। ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত হয় সবশেষ ডাকসু নির্বাচন। মাঝে কয়েকবার তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন আর হয়নি।
মোট ৪৩ হাজার ২৫৫ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবারের নির্বাচনের ভোটার। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২৯ জন প্রার্থী। আর ১৮টি হল সংসদের ১৩টি পদে লড়ছেন ৫০৯ জন প্রার্থী।