নিউজ বাংলা ডেস্ক: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসাসেবা ও পরিবহন খাতের মূল্য ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। ফলে এক মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে আরো কিছুটা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ ভাগ। মার্চে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৫৫ ভাগ। গতকাল দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে তুলনা করলে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি কোনো সরল রেখা নয়। মূল্যস্ফীতির বাড়ার কারণ জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, এ সময়ে যে কাঁচা বাজার, বিশেষ করে শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দাম বাড়ার কারণেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির শতকরা হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩৮ ভাগ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ২৬ ভাগ। শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হার ৫ দশমিক ৮৬ ভাগ, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৮৫ ভাগ।
মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মাছ, মাংস, শাক-সবজি, ভোজ্য তেল, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মূল্য মার্চে বেড়েছে। খাদ্যের বাইরে পরিধেয় বস্ত্র, চিকিৎসা সেবা, পরিবহনসহ বিভিন্ন পণ্যের দামও এই মাসে বেড়েছে। গত এক বছরের (২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। এর এক বছর আগে (২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মার্চ) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৮২ ভাগ।