গোলাম মওলা রনি : আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন বাংলাদেশের এই চলমান সঙ্কটের মধ্যেও আমাদের দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এই নতুন রাজনৈতিক দলটি চিরাচরিত অন্য দশটি দলের মতো নয়। কিংবা এই রাজনৈতিক দলটি নিয়ে যে মানুষ কেউ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে তারও কোনো কারণ নেই। কারণ হলো এদেশে চলমান সঙ্কটের মধ্যে মানুষ দুর্বোধ্য সময় কাটাচ্ছে, কী করবে বুঝতে পারছেনা যে মানুষের কী করা উচিত। আগামী দিনগুলো কীভাবে যাবে। যে রাজনৈতিক অবস্থা যাচ্ছে সেই অবস্থার মধ্যে বর্তমান যে ^াসরুদ্ধকর অবস্থা চলছে এই শাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসছে। এ বিপর্যয়ের মধ্যে কি রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে বাংলাদেশে এটি নিয়েও মানুষ নিদারুন টেনশনের মধ্যে রয়েছে। তারই মধ্যদিয়ে যখন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলো সেটি নিয়ে কিন্তু একটু গবেষণা চিন্তাভাবনা কিংবা আলাপ আলোচনার আবকাশ রয়েছে। এই রাজনৈতিক দলটি যারা করেছেন তারা যেন তেন লোক নন।

তাদের মধ্যে যিনি প্রধান তিনি সরকারের একজন দাপুটে সচিব ছিলেন। তিনি দেশ ও জাতির এই প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বিষহ সময়ে হঠাৎ একটি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন এটি গঠনের মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো হেতু রয়েছে। এর কারণ হলো আমরা যারা সোলায়মান চৌধুরীকে চিনি তারা জানি তিনি একজন সাহসী মানুষ হিসেবে, একেবারে একরোখা মানুষ হিসেবে, একজন বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে। তিনি এই মুহূর্তে পাগল হয়ে যাননি। কিন্তু কিংবা বার্ধক্যের কবলে পড়ে তার বুদ্ধিশক্তিতে ভ্রম আসেনি। এইভাবে তাকে জেনে এসেছি। তিনি জামায়াত শিবিরের পরিচিত একজন। শিবিরের একজন সফল সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্য সচিব করে তিনি সভাপতি হয়েছেন। আরেকজন প্রিয় মুখ অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। যারা যুদ্ধাপরাধ মামলায় অভিযুক্ত তাদের মামলাটি করেছিলেন ক্রিটিক্যাল মুহুর্তে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে। জামায়াত ঘরোনার সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছে তাজুল ইসলাম রীতিমত হিরো। এবং যেই সময়টাতে তিনি জামায়াত শিবিরের পক্ষে বিভিন্ন মামলায় লড়েছেন একেবারে সুপ্রিমকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে, ওই সময়টাতে খুব অল্প সংখ্যক লোকই জামায়াতের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি ও ক্ষমতা রাখে। এই সমস্ত লোক যারা ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে জামায়াতের সঙ্গে ছিল তারা জামায়াতের হর্তাকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে কিংবা নিজেরাই হর্তাকর্তা।

তাদের মধ্যে যে উইলফোর্স লক্ষ করা গেছে তাতে মনে হয়েছে, দে হ্যাভ গট অ্যা গুড সিগনাল। দে হ্যাভ গট অ্যা ভেরি গুড লজিস্টিক সাপোর্ট। তারা যদি গ্রিন সিগনাল আর লজিস্টিক সাপোর্ট না পেত তারা এই সময়ে এই ঝুঁকিটা নিতেন না। আমি আগেই বলেছি তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্ব স্ব অবস্থানে স্বনামধন্য, তাদের কর্মকান্ডের কারণে তারা যথেষ্ট আলোচিত। যথেষ্ট পরিচিত। তাদের নির্বোধ মনে করার কোনো কারণ নেই।

এই মানুষগুলো কীভাবে রাতারাতি জামায়াত থেকে বের হয়ে এসে নতন রাজনৈতিক দল গঠন করল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছে এটি একটি নতুন আনকোড়া রাজনৈতিক দল যাদের জামায়াতের সঙ্গে বিরোধ ছিল, নীতি নৈতিকতার বিরোধ ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত বা শিবিরের যে ভ‚মিকা ছিল, আলবদর আলশামসের যে ভ‚মিকা ছিল সেই ভ‚মিকার প্রেক্ষাপটে সারাদেশ ও জাতি একবাক্যে ঐক্যবদ্ধ যে জামায়াতের উচিত বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলা এবং জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। জামায়াতের মধ্যে যারা তরুন তারা চাইছিলেন জামায়াত এই খোলস থেকে বের হয়ে আসুক। এবং যে নেতিবাচক ভ‚মিকা ছিল তার জন্য ক্ষমা চাক। আমরা দেখেছি প্রয়াত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান সাহেব জামায়াতের মধ্য থেকেই অনেক চেষ্টা করেছেন জামায়াতকে একটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলে পরিবর্তন করার জন্য। তার সেই না পারার বেদনার কারণে তিনি একাধিকবার খোলা চিঠি লিখেছেন, যা তার মৃত্যুর পর জনসম্মুখে চলে এসেছে। মীর কাশেম সাহেব কামারুজ্জামান সাহেব একটা বলয় সৃষ্টি করেছিলেন। সেই বলয়ের একেবারে প্রধানতম ব্যক্তি ছিলেন জনাব মজিবুর রহমান মঞ্জ ।

যিনি বর্তমান এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব। মঞ্জু সাহেবের সাথে অন্য শিবির সভাপতির ডিফারেন্স হলো অন্য শিবির সভাপতিরা যারা একেবারে এক্সক্লুসিভলি জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং জামায়াত ঘরোনার বাইরে তেমন কোনো পরিচিতি নেই। শিবিরের রাজনীতি করে কিংবা শিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তি জীবনে মাল্টি ডাইভার্সিভ রাজনীতি কিংবা পেশাতে ফিরে েেযতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে যিনি সাকসেসফুল তার নাম মীর কাসেম আলী। আর তার একেবারে দক্ষিণ হস্ত ছিলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। জামায়াতকেন্দ্রিক যে ব্যাবসা বাণিজ্য, জামায়াতকেন্দ্রিক যে মিডিয়া, জামায়াতকেন্দ্রিক যে সিভিল সোসাইটি তাদের সকলের সঙ্গে মঞ্জুর যে সামাজিক সম্পর্ক, বর্তমান যে জামায়াত নেতৃবৃন্দ রয়েছেন সেই শীর্ষ নেতৃবৃন্দে সবার চেয়ে তার সম্পর্ক বেশি রয়েছে। সবাই জনাব মঞ্জুকে চেনেন তিনি সবাইকে চেনেন। এই সম্পর্কটি কতটা ইফেক্টিভ এবং সম্পর্কটি বেসিকেলি দুঃসময়ে তার কতটা কাজে আসবে সেটা প্রমানের সময় এসেছে। যারা এই নতুন দলটি করেছেন তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার কোনো হেতু নেই। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা ব্যক্তি জীবনে যথেষ্ট সুনামধন্য, তাদের সামাজিক সুনাম রয়েছে।

এই মানুষগুলো যখন এই সময়টাতে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করলেন তাদের ব্যাপারে জামায়াত বিরোধীরা বলছেন, তারা হচ্ছে জামায়াতের বিটিম। জামায়াত এই মুহূর্তে সরাসরি আসতে পারছেনা। তারা জামায়াত বিরোধীতার নামে সরকারের সাথে নেগোসিয়েশনের ভান করে টিকে থাকতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে জনগণ তাদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করুক, আর জামায়াত দাওয়াতী কাজ করে তাদের কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছে যাক। তারা যখনই শক্তিশালী হবে। যখনই একটি পরিবর্তন আসবে তখন তারা আল্লাহু আকবার বলে বেরিয়ে আসবে এটা জামায়াত বিরোধীরা চিন্তা ভাবনা করছেন। জামায়াতের ভেতরের লোক রয়েছে যারা মজলিসে সুরায় নন কেন্দ্রিয় জামায়াতে নন তারা এই নতুন গ্রæপটিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন বেইমান মীরজাফর বলে। তাদের ক্ষতি করার জন্য জামায়াতের সাধারণ নেতাকর্মিরা যারা উগ্রভাবে কথা বলছে তারা জানে না যে এরা জামায়াতের বিটিম নাকি জামায়াত থেকে বিতারিত। এ নিয়ে জামায়াতের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

জামায়াতের যারা কেন্দ্রিয় নেতা রয়েছেন তারা নিদারুনভাবে নিরব রয়েছেন। অতীতেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেভাবে নিরব থেকেছেন সেভাবে এখনও নিরব রয়েছেন। যা কিনা সন্দেহ সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। সে যাই হোক সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। এবং যারা সাধারণ বিশ্লেষক রয়েছেন তাদের অনেকে মনে করছেন যে সরকার যে জামায়াত ভাঙার চেষ্টা করছে বর্তমানে এটি তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের একটি বিশেষ গ্রæপের প্রণোদনায় ও তাদের প্রভাবে দলটি গঠিত হয়েছে। বিএনপির যারা নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের লোকজন রয়েছেন তারা এপর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। কৌশলগতভাবে জামায়াত এখনো বিএনপির পার্টনার হিসেবে রয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে যে দলটি এখন তৈরি হলো সে দলটি কি বিএনপির সাথে থাকবে না সরকারের সঙ্গে থাকবে সে কথা এখন পর্যন্ত বলেনি। নতুন যে রাজনৈতিক দল এবি পার্টি গঠিত হলো সে ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মত হলো প্রথমত দেশের এই সংকট মুহূর্তের পর দেশে দ্রূত একটা রাজনৈতিক পরিবর্তন আসবে। সেকেন্ড হলো এখন যে করোনা সংকট চলছে এবং এরপর যে অর্থনৈতিক মহামারী শুরু হবে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে সর্বক্ষেত্রে যে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হবে তখন যদি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্লাটফরম দাঁড় করানো থাকে তখন সেই প্লাটফরমকে কেন্দ্র করে ভারতে যে আম আদমি পার্টি রয়েছে তাদেরই মতো করে সফলতা আনা সম্ভব। তার কারণ হলো প্রচলিত যে রাজনৈতিক দল রয়েছে বিএনপি রয়েছে জাতীয় পার্টি রয়েছে জামায়াত রয়েছে সিপিবি রয়েছে অন্যান্য যে আরো ছোট বড় রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের ব্যাপারে জনগণ বুঝে গেছেন এই দলগুলো কী বলতে পারেন বা কী কাজ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যে একটা শুণ্যতা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। সে শূণ্যতা পূরনের জন্য তাদের একটা চেষ্টা বা তদবির থাকতে পারে। তারা যাতে একটি শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে পারে।

এটি আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে। এরপর আমার মনে হয়েছে সরকার হয়তো যে কোনো সহায়তা দিতে পারে, যে কোনো মূল্যে এমপাওয়ার্ড করতে পারে। সরাসরি না করলে ইনডাইরেক্টলি করতে পারে। তারা চাইতে পারে ইফেক্টিভ কেনো নতুন রাজনৈতিক দল আসুক, যে দলগুলো রয়েছে তাদের ব্যাপারে সরকারের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, জনগণের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তরুন মধ্য থেকে যদি রাজনৈতিক নেতৃত্ব আসে তবে সরকার হয়তো স্বাগত জানাবে। এদের যে একটা জামায়াতী পরিচয় আছে এবং এদের দ্বারা যদি জামায়াত ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে সেক্ষেত্রে সরকার লাভবান হবে। এই ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য না করার কোনো কারণ নেই। কিন্তু সবচাইতে যেটা সমস্যা রয়েছে। এই রাজনৈতিক দলটি যদি সত্যিকার অর্থে সফল হয়ে যায়, যদি তাদের মধ্য থেকে দু চারজন মন্ত্রী হয়ে যায় এমপি হয়ে যায়, সরকার যদি টিকে যায় । তারা যদি ভালো অবস্থায় পৌঁছে যায় তবে তারা যেভাবে আসুক না কেন আমি মনে করি তারা যদি বিটিম হিসেবেও আসে তাদের দ্বারা জামায়াত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জামায়াতের অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে। আমি আরো মনে করছি যদি এই দলটি কন্টিনিউ করতে পারে, বর্তমান সরকার যতি কন্টিনিউ করতে পারে, তবে জামায়াতের যে সব লোক আত্মগোপনে থেকে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে তাদের সত্যিকার অর্থে খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। তার কারণ হলো তারা যে দীর্ঘদিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ ভাইবারের মাধ্যমে যে রাজনীতি করছে, সরকার সে ক্ষেত্রে একটা সুযোগ নেবে ।

তারা যদি হঠাৎ করে গুম হয়ে যায় তাদের ব্যাপারে কেউ জিজ্ঞাসাও করবেনা। এই রকম একটা টালমাটাল অবস্থার চলতে পারে। যারা এই রাজনৈতিক দল করেছেন তাদের একেবারে অবোধ শিশু ভাবার কারণ নেই। কিংবা তারা যে একেবারে বিরাট কিছু করে ফেলবে একে ফজলুল হকের মতো তাও মনে করার কারণ নেই। তারপরও এই দুঃসময়ে তাদের তড়িঘরি করে রাজনৈতিক দল গঠন করা, সংবাদ সম্মেলন করা, পুরোদমে কাজ চালিয়ে নেয়া এবং তাদের মধ্যে যে উইলফোর্স লক্ষ করা গেছে তাতে মনে হয়েছে, দে হ্যাভ গট অ্যা গুড সিগনাল। দে হ্যাভ গট অ্যা ভেরি গুড লজিস্টিক সাপোর্ট । তারা যদি গ্রিন সিগনাল আর লজিস্টিক সাপোর্ট না পেত তারা এই সময়ে এই ঝুঁকিটা নিতেন না। আমি আগেই বলেছি তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্ব স্ব অবস্থানে স্বনামধন্য, তাদের কর্মকান্ডের কারণে তারা যথেষ্ট আলোচিত।

যথেষ্ট পরিচিত। তাদের নির্বোধ মনে করার কোনো কারণ নেই। প্রশ্ন হলো যে তাহলে নতুন যে দলটি প্রতিষ্ঠিত হলো তারা যদি সকল বাধা, সমালোচনা মোকাবেলা করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে পারে তাহলে আগামী দিনে জামায়াতের যারা নেতাকর্মি তারা চিন্তা করবে তারা কি ডা. শফিকের সাথে থাকবেন নাকি এদের সঙ্গে থাকবেন। জামায়াত কী এদের সঙ্গে আসবে নাকি তারা জামায়াতের সঙ্গে এরা যাবে ? জামায়াতের সঙ্গে কী এদের সঙ্ঘাত হবে নাকি হবে না। কিংবা এরা কি ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে থাকবে নাকি বিএনপির সঙ্গে থাকবে নাকি নিজেরাই অ্যাম্ভিসাস হয়ে বড়কিছু অর্জন করতে পারবে। তারা হয়তো বড় কিছু অর্জনের কল্পনা করে আগাচ্ছে। টলটলায়মান পৃথিবীতে কখন যে কোথায় কি হচ্ছে কেউ বলতে পারছেনা । আগামী দিনেও যে কী হবে তাও বলা যাচ্ছে না। এটা নিয়ে বিতর্ক না করে বা নেগেটিভ কথাবার্তা না বলে আমরা অপেক্ষা করি দেখি সময় কী মীমাংসা নিয়ে আসে আমাদের জন্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত করুন। আমীন।

গোলাম মওলা রনি
সাবেক সংসদ সদস্য
ও রাজনীতির বিশ্লেষক

[ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া সাম্প্রতিক বক্তব্য]

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here