ঢাকা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, তার দেশ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের নিজ বাসভূমিতে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
তিনি বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে বলেন, আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আমাদের সহযোগিতা ও সহায়তা অব্যাহত রাখব।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত উভয়ই দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এটি দিনদিন বেড়ে চলছে।
বার্নিকাট সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মারাত্মক নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনস্রোত সামলাতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এর পর বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন সংলাপ প্রসঙ্গে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সংলাপ অনুষ্ঠান সবসময়ই ভালো।
বার্নিকাট আশা প্রকাশ করেন যে এ সংলাপ দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক ফল বয়ে আনবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এখানে দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। বার্নিকাট ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বাংলাদেশে সফলভাবে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। বঙ্গভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।