.

আইন ও সালিশ কেন্দ্রনিউজ বাংলা ডেস্ক:

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেওয়া সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ অভিযোগের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র- আসক।

মঙ্গলবার  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আসক জানিয়েছে, ‘পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় নির্বাচনের দিন (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধে একজন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছে।’

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা খবরের বরাত দিয়ে আসক  বলেছে, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের একটি গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে একজন নারীকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই অভিযোগকারীর ভাষ্য মতে, যুবকদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় তার ওপর এমন আক্রমণ করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, তার ওপর হামলাকারী যুবকদের একটি দল স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক। ভোটের দিন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় তার ওপর এভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আসকের ভাষ্য, ‘নিজের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট প্রদানের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার। সেটিকে ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্ট করা, অন্যথায় প্রতিশোধ পরায়ণতার বশবর্তী হয়ে এমন ঘৃণ আক্রমণ একটি সভ্য দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। আসক  দ্রুত ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে অভিযোগটি খতিয়ে দেখার এবং সত্যতা সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের প্রতি আসক আহ্বান জানাচ্ছে যে, এ ধরনের প্রতিশোধপরায়ণতা পরিহার করতে সব পর্যায়ের সমর্থকদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা জরুরি। কোনোভাবেই যেন এমন ঘৃণার কাজ দলীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পায়।’

এদিকে, নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্যাতিত ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে বাদশা আলম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here