হুমায়ুন কবির, ঝিনাইদহ  প্রতিনিধি : কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড তথা হেলাই গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পেশা   তাঁত শিল্প আজ নানা কারণে প্রায় বিলুপ্তির পথে।তাঁত হচ্ছে এমন একটি যন্ত্র যা দিয়ে তুলা বা তুলা হতে উৎপন্ন সুতো থেকে কাপড় বানানো যায় । সাধারণত তাঁত নামক যন্ত্রটিতে সুতো কুণ্ডুলি আকারে টানটান করে ঢুকিয়ে দেয়া থাকে , যখন তাঁত চালু করা হয় তখন নির্দিষ্ট সাজ অনুসারে সুতো টেনে নেওয়া হয় এবং এর ভিতরের কলাকৌশল বিভিন রকমের হয়ে থাকে। বাংলার তাঁত যন্ত্রে ঝোলানো হাতল টেনে সুতো জড়ানো মাকু আড়াআড়ি ছিটানো হয় ।কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রামে ছোটো বড় ফ্যাক্টরির মাধ্যমে অতীতে এই শিল্পের ব্যপকতা থাকলেও বর্তমানে তা আর লক্ষ করা যায় না।নানা প্রতিবন্ধকতায় এই পেশার সাথে জড়িত ব্যাক্তিরা এখন অন্যান্য  পেশায় নিয়জিত হয়ে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে।সরোজমিনে গ্রামটিতে গিয়ে দেখা যায়, দুই একটা বাড়িতে হাত মেশিনে গামছা বোনা হয়।হেলাই গ্রামের তাতী আজিজুল ইসলাম বলেন,দেশ স্বাধীন এর পরথেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি হেলাই গ্রামের তাঁত  শিল্পের রমরমা ব্যাবসা। হেলাই গ্রামের বাসিন্দা শফি মোল্লা,সাত্তার মোন্ডল,আব্দুর রশিদ,রতন মল্লিক,মাহাবুব মুন্সি, আব্দুল সামাদরা ছিলেন বড় তাঁত  ফ্যাক্টারীর মালিক।এই গ্রামের কারিগরের পাশাপাশি পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে কারিগর হিসেবে কাজ করতে আসতেন অনেকে।সুতার মূল্য বৃদ্ধি এবং কাপড়ের বাজার দর কমে যাওয়ায় এসব ফ্যাক্টারিগুলা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।তাছাড়া সরকারি সহযোগিতার অভাব ঋণ সুবিধা না পাওয়ায় হেলাই গ্রামের তাঁত  শিল্পের  বিলুপ্তির অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।এসব কারণে এ শিল্পের প্রতি এই গ্রামের তাঁতী  জনগোসঠি আগ্রহ হারিয়ে নানা পেশা বেছে নিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here