নিউজবাংলা ডেস্ক

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা। এ ধাপের মোট ৫৫টি পৌরসভার মধ্যে ৪৮টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

বিএনপির মাত্র একজন প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার এসব পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

এ ধাপের পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সেখানে ভোট হয়নি।

সেখানেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পান। এছাড়া কেন্দ্র স্থগিত থাকায় নরসিংদী ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ফল স্থগিত রয়েছে।

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। অন্তত ১১টি পৌরসভায় এসব ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই খুন হয়েছেন। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।

ভোট কেন্দ্র দখল ও সংঘাতের ঘটনায় তিনটি পৌরসভার সাতটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা।

বেশ কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন। বাকিগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

এ ধাপে যেসব পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন- ঠাকুরগাঁও-আঞ্জুমান আরা বেগম, রানীশংকৈল-মো. মেস্তাফিজুর রহমান, পাটগ্রাম-মো. রাশেদুল ইসলাম সুইট, কালাই-মোছা. রাবেয়া সুলতানা, শিবগঞ্জ-সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, নওহাটা-মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, তানোর-মো. ইমরুল হক, তাহেরপুর-মো.আবুল কালাম আজাদ ও বড়াইগ্রাম-মো. মাজেদুল বারী নয়ন।

এছাড়া জীবননগর-মো. রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা-হাসান কাদির গনু, চৌগাছা-মো. নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়া-মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট-খান হাবিবুর রহমান, কলাপাড়া-বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মুলাদী-মো. শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়া-সুভাষ চন্দ্র শীল, গোপালপুর-মো. রফিকুল হক ছানা, কালিহাতী-মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মেলান্দহ-মো. শফিক জাহেদী রবিন ও শেরপুর-গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া। আরও রয়েছেন শ্রীবরদী-মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ফুলপুর-শশধর সেন, নেত্রকোনা-মো. নজরুল ইসলাম খান, বাজিতপুর-মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর-মো. আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জ-মো. মুসলেহ উদ্দিন, মিরকাদিম-আবদুস ছালাম, মাধবদী-মো. মোশাররফ হোসেন, গোয়ালন্দ-নজরুল ইসলাম, নগরকান্দা-নিমাই চন্দ্র সরকার, কানাইঘাট-লুৎফুর রহমান ও চুনারুঘাট-মোহাম্মদ সাইফুল আলম বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকি মেয়ররা হলেন, আখাউড়া- মো. তাকজিল খলিফা, হোমনা-মো. নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দি-নাইম ইউসুফ, কচুয়া-মো. নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জ-আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাটখিল-মো. নিজাম উদ্দিন, রামগতি-এম মেজবাহ উদ্দিন, সাতকানিয়া-মোহাম্মদ জোবায়ের (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), পটিয়া-মো.আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশ-মো. মাহাবুবুল আলম, মাটিরাঙ্গা-মো. শামছুল হক, রাঙ্গামাটি-মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান-মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সোনাইমুড়ী-নুরুল হক চৌধুরী ও আক্কেলপুর- শহীদুল আলম চৌধুরী।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- লালমনিরহাট পৌরসভায় মো. রেজাউল করিম, গোদাগাড়ীতে মো. মনিরুল ইসলাম ও রাজবাড়ীতে মো. আলমগীর শেখ তিতু। সাতক্ষীরা সদর পৌরসভায় বিএনপির মো. তাজকিন আহমেদ ও ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here