ক্রীড়া ডেস্ক:
আবারো ক্রিকেট যুক্ত হচ্ছে এশিয়ান গেমসে। ২০২২ সালে চীনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে থাকবে ক্রিকেট (পুরুষ ও মহিলা)। এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের সাধারণ সভায় গতকাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের একমাত্র স্বর্ণ এসেছে ক্রিকেটের হাত ধরে। ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে পুরুষ বিভাগে স্বর্ণ ও মেয়েদের ক্রিকেটে রৌপ্য জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে ইনচন এশিয়ান গেমসেও ক্রিকেট থেকে দুটি পদক জেতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট না থাকা এবং অন্যান্য ডিসিপ্লিনের ভরাডুবিতে ৩২ বছর পর আসর থেকে খালি হাতে ফেরে বাংলাদেশ। আগামী আসরে ক্রিকেট যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ভালো হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উপ মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের সভা নিয়ে মিকু বলেন, এই সভাতে যোগ দিতে আমাদের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা ও মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার এখন থাইল্যান্ডে আছেন।

সেখান থেকেই ক্রিকেট যুক্ত হওয়ার খবরটি আমরা পেয়েছি। আশা করছি অন্য ডিসিপ্লিন না হোক ক্রিকেটে অন্তত আমরা দুটি পদক পাবো।
ওশেনিয়ার দেশগুলোকেও ২০২২ এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে ওই অঞ্চল থেকে ঠিক কতজন অ্যাথলেট অংশ নিতে পারবে, সেটা পরে নির্ধারণ করে জানানো হবে। মূলত ক্রিকেটের পাওয়ার হাউস ভারতের আপত্তির কারণেই ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ এশিয়ান গেমস থেকে ক্রিকেট বাদ দেয়া হয়েছিল। তখন ব্যস্ত সূচির কারণে ভারত তাদের দল পাঠাতে সমর্থ ছিল না। সে কারণে ডিসিপ্লিনই বাদ দেয়া হয়েছিল। তবে এবার ভারতের সম্মতিতেই আবার ক্রিকেট সংযুক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের একজন ভারতীয় মিডিয়ায় বলেন, ‘২০২২ সাল আসতে এখনো অনেক দেরি। আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো। আশা করছি ২০২২ সালে আমাদের নারী ও পুরুষ দল পাঠাতে সমস্যা হবে না।’ গতকালের সভায় ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে ভারত তাদের ক্রিকেট দল না পাঠানোর কড়া সমালোচনা করেন এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের সভাপতি শেখ আহমেদ আল ফাহাদ আল সাবাহ, ‘আমি দুঃখিত যে ২০১৮ এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটকে রাখতে পারিনি। আসলে ভারত তাদের দল পাঠাতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল। আমি তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমি বিশ্বাস করি দায়িত্বশীল কিছু মানুষ চায় না ক্রিকেট খেলাটির বিকেন্দ্রীকরণ হোক। এই খেলাটায় অংশগ্রহণ বাড়ুক। তারা কেবল ক্রিকেট নিয়ে ব্যবসা করতে ব্যস্ত। ক্রিকেট দিয়ে টাকা কামানোতেই তারা মনোনিবেশ করছে। তারা ক্রিকেটের বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তারা ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’ উল্লেখ্য, ২০১৪ এশিয়ান গেমস ক্রিকেটের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে স্বর্ণ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। আর ২০১০ সালে পুরুষ ও মহিলা বিভাগে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। কমনওয়েলথ গেমসেও একবার ক্রিকেট ডিসিপ্লিন ছিল। ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসের ক্রিকেট ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জিতেছিল শন পোলকের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। আর রৌপ্য জিতেছিল স্টিভ ওয়াহ’র নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। এরপর অবশ্য কমনওয়েলথ গেমসে আর ক্রিকেট দেখা যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here