সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি (বাঁয়ে) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান জিনা হাসপেল। ছবি : রয়টার্স
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি (বাঁয়ে) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান জিনা হাসপেল। ছবি : রয়টার্স

নিউজ বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি খুনের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের ব্যাখ্যা দেবেন সংস্থাটির পরিচালক জিনা হাসপেল। নাম প্রকাশ না করে গোয়েন্দা সংস্থাটির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, আজ এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং আর্মড সার্ভিস কমিটির ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সিনেটররা এই ব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগি হত্যা নিয়ে গেল সপ্তাহে সিনেটের ব্রিফিংয়ে সিআইএপ্রধান অনুপস্থিত থাকায় অনেক আইনপ্রণেতা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস দাবি করেন, খাসোগি খুনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার বিষয়ে অকাট্য কোনো প্রমাণ নেই। ক্ষমতাধর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য নির্দেশদাতা বলে দাবি করে এর আগে সিআইএর বরাতে খবর প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো।

যুবরাজকে নিয়ে সিআইএর অনুসন্ধানটি চূড়ান্ত কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘তবে এমনটি হতেও পারে যে যুবরাজ এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত ছিলেন, আবার এমনও হতে পারে যে, তিনি কিছুই জানতেন না,’ বলেন ট্রাম্প।

গত ২ অক্টোবর তুর্কি এক নারীকে বিয়ের জন্য জরুরি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি।

সাংবাদিক জামাল খাসোগি কয়েক দশক ধরে সৌদি রাজপরিবারের আস্থাভাজন ছিলেন। তিনি এর আগে সৌদি সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন। কিন্তু সৌদি রাজপরিবারে ক্ষমতার পালাবদলে ক্ষমতাসীনদের বিরাগভাজনে পরিণত হন খাসোগি।

জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনে ছিলেন এই সৌদি সাংবাদিক। সেখানে থেকে প্রতি মাসে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি করে কলাম লিখতেন তিনি, যাতে মোহাম্মদ বিন সালমানের সরকারি নীতির কড়া সমালোচনা করতেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here