নিউজবাংলা ডেস্ক
ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন গতকাল দুপুর দুইটার দিকে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুপুর ১টার আগে থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল, অধিভুক্ত সাত কলেজ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে জড়ো হয়।
এ সময় বটতলার পাদদেশে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগ শাখা ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ পাশাপাশি অবস্থান নেয়। দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় একে অপরকে লক্ষ্য করে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ও পাথর ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। এ সময় কর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে তিনিসহ কবি জসীম উদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত লেখক তার অনুসারীদের সহায়তায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় নিজ গাড়িতে করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি ফের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় তার মাথায় ছাত্রলীগের পতাকা মোড়ানো ছিল।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ছাত্রলীগ একটি সৃষ্টিশীল ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারকে বাংলাদেশের জনগণের মাথার ওপর জগদ্দল পাথর হয়ে বসতে দেয়নি। এই ছাত্রলীগ মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যে সময় মা তার সন্তানের কাছে যায় না, সন্তান যখন তার পিতার পাশে দাঁড়ায় না, সেই মুহূর্তে ছাত্রলীগ তাদের সকল কাজ করে দিয়েছে। অতীতের ন্যায় আগামীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসামপ্রদায়িক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
উদ্বোধনীর পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন, কাকরাইল-পল্টন হয়ে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এদিকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) ছাত্রলীগের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।