রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন স্কুলের ও একজন কলেজ ছাত্রী।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মীরগঞ্জ বিওপির পাশে সুফিয়ানের ঘাটে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
নিহতরা হলো- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ভানুকর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে ইশা (১০) ও জিম (১৭) এবং তার জিল্লুরের চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলামের মেয়ে শিব্রা (১২)।
এর মধ্যে জিম মীরগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিপ্রা মীরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও এশা খাতুন বাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি মহসীন আলী বলেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঘার মীরগঞ্জ বিউপি ক্যাম্প এলাকার সুফিয়ানের ঘাটে তারা গোসল করতে নামে। এ সময় কোনোভাবে তারা নদীতে ডুবে যায়। পরে ঘাটে শিক্ষার্থীদের রাখা কাপড় দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে নদীতে জাল ফেলে তাদের খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই তিন শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদেরকে দ্রুত চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত তিন বোনের মরদেহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
রাজশাহীর বাঘার মণিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহগুলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। ঘটনার পর থেকে নিহত তিন শিক্ষার্থীর পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
এদিকে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজাও নিহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে বলেও জানান