‘আমি পুলিশের কাছে কোনো প্রকার নিরাপত্তা চাইনি। পুলিশ নিজে থেকেই উদ্বেগের কথা জানিয়ে আমাকে নিরাপত্তা দিতে চাইছে। আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। পুলিশ অফিসারদের (পুলিশ) বলেছি, প্রয়োজন হলে টেলিফোনে জানাবো।’
বলছিলেন, গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। ‘হত্যা ষড়যন্ত্র’ নিয়ে ফোনালাপকে তিনি ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে কামাল হোসেনকে নিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসিন মন্টু এবং জনৈক শওকত নামের এক ব্যক্তি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। ড. কামালকে তারেক রহমান হত্যার ষড়যন্ত্র করতে পারেন বলে ওই ফোন আলাপে মন্টুকে সতর্ক করে দেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা জনৈক শওকত।
পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া এবং ফোনালাপের প্রসঙ্গ নিয়ে ড. কামালের সঙ্গে কথা হয় গনমাধ্যামের।
ড. কামাল বলেন, আমাকে জানানো হয়েছিল ডিএমপি কমিশনার আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। হয়তো তার ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি তিনি। মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন আমার সঙ্গে ঘণ্টা খানিক আলাপ করে আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানালেন। আমি বলেছি, প্রয়োজন হলে ফোন দেব।
ফোনালাপ প্রসঙ্গে বলেন, অনেকেই ফোনে কথা বলেন। কে কোন উদ্দেশ্যে কথা বলেন, তার অনেক কিছুই জানার কথা নয়। মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে কে বা কী প্রসঙ্গে আলাপ করেছেন, তা আমার জানা নেই। ফোনের এমন আলাপ বানোয়াট বা ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। চাইলে পুলিশ এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।
একই বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় মোস্তফা মহসিন মন্টুর কাছেও। তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত ফোন আসে আমাদের কাছে। সাংবাদিকরাও ফোন করেন। শওকত নামের একজন ফোন দিয়ে এমন ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। আমি লিডারকে (ড. কামাল) অবগত করেছি। কিন্তু সতর্ক করে দিয়ে ফোনালাপ ফাঁস করলেন, এটিই তো এখন রহস্য মনে হচ্ছে। এমন ফোনালাপ ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। পুলিশই পারে এর সত্যতা বের করতে।