নিউজ বাংলা ডেস্ক : ২১ আগস্ট ২০০৪। শনিবার বিকেল ৫টা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী’ সমাবেশ চলছিল। প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লোকে লোকারণ্য চারদিক। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল হওয়ার কথা থাকায় মঞ্চ নির্মাণ না করে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সবশেষে বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা। বক্তৃতা শেষ করে ট্রাক থেকে নিচে নামার সিঁড়ির দিকে এগোতে থাকেন।

বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই চারপাশে ১২টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। সবমিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জনে।

আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগস্ট মারা যান। শরীরে এক হাজারেরও বেশি স্প্লিন্টার নিয়ে প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা যান ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামী নেতা মোহাম্মদ হানিফ।

নিহতরা হলেন
১. শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব) মাহবুব
২. রফিকুল ইসলাম ওরফে আদা চাচা
৩. মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হানিফ
৪. রতন শিকদার
৫. হাসিনা মমতাজ রিনা
৬. রিজিয়া বেগম
৭. সুফিয়া বেগম
৮. লিটন মুনশি
৯. আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী
১০. আবুল কালাম আজাদ
১১. আব্বাস উদ্দিন শিকদার
১২. আতিক সরকার
১৩. মামুন মৃধা
১৪. নাসির উদ্দিন সরদার
১৫. আবুল কাশেম
১৬. বেলাল হোসেন
১৭. আবদুর রহিম
১৮. আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম
১৯. জাহেদ আলী
২০. মোতালেব হোসেন
২১. মোশতাক আহমেদ সেন্টু
২২. মোমেন আলী
২৩. এম শামসুদ্দিন
২৪. ইসহাক মিয়া
২৫. আইভি রহমান

Courtesy : Jagonews

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here