ঢাকা:তফসিল পেছানোর যৌক্তিকতা দেখছে না সম্মিলিত জাতীয় জোট; ৮ই নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা চায় এই জোট; এমনটি জানিয়েছেন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ বুধবার, নির্বাচন কমিশন এর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময়, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।
সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এর নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতারা আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে তারা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করা; ইভিএম ব্যবহার না করা; নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ রাখা; স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা বাহিনীকে মাঠে রাখা; অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করা; এছাড়াও রয়েছে একক পোস্টারের দাবি।
১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, এমএ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, শাহেদুর রহমান টেপা, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, শুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, আব্দুস সবুর আসুদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এমএ মোমেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জালাল আহমেদ, জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএ’র চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।
এর আগে ৩ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছাতে ইসিকে চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরে ৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহদাত হোসেন চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিতে যান আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডা। জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও নঈম জাহাঙ্গীর।